পাঁচ ইরানি কোম্পানির বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

নতুন করে পাঁচটি ইরানি কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দফতরের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি খবরটি জানিয়েছে।

ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ওই ৫ কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে
ট্রাম্পের শাসনাধীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চির বৈরি দেশ ইরানের সম্পর্ক আরও বেশি বৈরি হয়েছে। সিরিয়া ও ইয়েমেনে যুদ্ধ পররাষ্ট্রনীতি এবং ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে টানাপড়েন বেড়েছে। ওই পরমাণু চুক্তির শর্ত ছিল, ইরান আগামী অন্তত ১০ বছরের জন্য নিজেদের পরমাণু সমৃদ্ধিকরণ কমিয়ে আনবে। বিনিময়ে তাদের উপর থেকে ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। তবে বিভিন্ন সময়ে ইরানের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি চালানোর অভিযোগ করে নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবারও ৫টি ইরানি কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় বলেছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা পাঁচ ইরানি কোম্পানির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, এসব কোম্পানির সঙ্গে যেকোনও বাণিজ্যিক লেনদেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং এগুলোকে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক লেনদেন ব্যবস্থা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এসব কোম্পানি ইরানের বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠী ‘শাহিদ বাকেরি’র শাখা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে।

ইরানের অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে দেশটির অভ্যন্তরীণ বিক্ষোভের সঙ্গে নতুন এই নিষেধাজ্ঞামূলক পদক্ষেপের সংযোগ রয়েছে বলে জানান মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মিউচিন। তার অভিযোগ, জনগণের অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায় তহবিল যোগাচ্ছে ইরান।