ইরানের পরমাণু চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ যুক্তরাজ্যের

ইরানের পরমাণু চুক্তি নিয়ে নিজেকে গুটিয়ে না নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ছয় জাতির সঙ্গে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তি ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে নিবৃত্ত রেখেছে। বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় ওই চুক্তির একটি অধিকতর ভালো বিকল্প নিয়ে আসতে ওয়াশিংটনের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বরিস জনসন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনি ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে অংশ নেন। এছাড়া যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ইরানি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ।

বৈঠক শেষে চুক্তি অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিয়ে ইউরোপীয় নেতারা বলেন, ওই চুক্তি বিশ্বকে নিরাপদ রাখছে।

ওই চুক্তিকে উল্লেখযোগ্য কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে আখ্যায়িত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না যে, ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন মোকাবিলায় কেউ এর চেয়ে ভালো বিকল্প তৈরি করেছে। যারা এর বিরোধিতা করছেন তাদের অপেক্ষাকৃত ভালো সমাধান নিয়ে এগিয়ে আসতে পারে।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনি বলেন, আজকের বৈঠকে সব পক্ষ থেকে পরমাণু সমঝোতা পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পরমাণু সমঝোতা ঠিকভাবে কাজ করছে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ওপর নজরদারির যে লক্ষ্য নিয়ে সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছিল সে লক্ষ্য বিচ্যুত হয়নি।

আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ'র নয়টি রিপোর্টের কথাও তুলে ধরেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান। তিনি বলেন, আইএইএ'র এসব রিপোর্টে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, ইরান পরমাণু সমঝোতা মেনে চলছে।

ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং মধ্যপ্রাচ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন মোগেরিনি। তবে এসব ইস্যুর সঙ্গে পরমাণু সমঝোতার সম্পর্ক নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।