পাকিস্তানে অপহরণের পর ১০ বছরের শিশুকে ফিরিয়ে দিলো অজ্ঞাত ব্যক্তি

পাকিস্তানের করাচি থেকে অপহৃত ১০ বছরের এক শিশুকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি। ৬ বছরের শিশু জয়নাবকে ধর্ষণ ও হত্যার বিচার দাবিতে যখন অগ্নিগর্ভ পাকিস্তান সেই মুহূর্তে শনিবার সকালে করাচিতে এ ঘটনা ঘটলো। শিশুটির পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডন।ছয় বছরের শিশু জয়নাব হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই শিশুদের সুরক্ষার দাবিতে রাস্তায় নামে পাকিস্তানের মানুষ

ডনের খবরে বলা হয়, শুক্রবার করাচির সাদ্দার এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় শিশুটি। পরদিন শনিবার ভোরে ফজরের নামাজের সময় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তাকে বাড়িতে রেখে যায়। বাড়ির কারও সঙ্গে কথা না বলে লোকটি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
শিশুটির দাদী বলেন, তার শারীরিক কোনও ক্ষতির আলামত দেখা যায়নি।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, মিষ্টি খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে এক অপরিচিত ব্যক্তি তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এ ঘটনায় শিশুটির সুরক্ষায় পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের সাহায্য হয়েছিল।
ফিরে আসার আগে শিশুটিকে অপহরণের ঘটনায় ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করে স্থানীয়রা। ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেন। ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রেস্টুরেন্টগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিক্ষোভস্থলে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের নিশ্চয়তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় যে, শিশুটিকে উদ্ধারে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
সাদ্দার এলাকার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাঈম ডন’কে বলেন, ১১টার দিকে একটি স্কুলে পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশুটি।

noname
অপরাধীদের হাত থেকে শিশুদের রক্ষায় গত কয়েকদিন ধরেই এমনিতেই উত্তাল পাকিস্তান। ছয় বছরের শিশু জয়নাবকে হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় রাস্তায় নেমে আসেন হাজারো মানুষ। পুলিশের এক নথির বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, গত এক বছরে কাসুর জেলায় যৌন নিপীড়নের পর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ১০ শিশু। এদের মধ্যে ছয়জনকে খুন করেছে একই ব্যক্তি। তবে তদন্ত সূত্রের বরাতে পাকিস্তানের জিও টিভি বলছে, ওই সন্দেহভাজন সিরিয়াল কিলারের হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া শিশুর সংখ্যা ৮। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।