পরমাণু চুক্তি সংশোধনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইরানের, নিষেধাজ্ঞা নিয়ে হুঁশিয়ারি

 

 

ছয় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে করা পরমাণু চুক্তিতেও কোনও ধরনের পরিবর্তন বা সংশোধনীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। আর দেশটির বিচার বিভাগের প্রধান আয়াতুল্লাহ সাদিক আমলি-লারিজানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সীমা অতিক্রম করছে বলে জানিয়েছে তারা। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জবাব দেওয়া হবে বললেও কী পদক্ষেপ নেবেন তা বলেননি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ

ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রকে পরমাণু চুক্তির ‘ভয়ংকর ত্রুটিগুলো’ ঠিক করতে ‘শেষ সুযোগ’ দিচ্ছেন। ইরান ও ছয় বিশ্ব শক্তির মধ্যে ২০১৫ সালে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। ইরানের ইউরোনিয়াম সমৃদ্ধকরণের উপর উপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য দেশটি চুক্তিতে অংশ নেওয়া ইউরোপিয় ইউনিয়নের সদস্যদের রাজি করানোর চেষ্টা করছে। বর্তমান চুক্তিটি ২০২৫ সাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। তবে ট্রাম্প ইরানের ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিও বন্ধ করতে চাইছে।

ইরান বলেছে, তারা পরমাণু চুক্তিতে এখন বা ভবিষ্যতেও কোনও সংশোধনী মেনে নেবে না। এছাড়া এর সঙ্গে অন্য কোনও বিষয়ও জুড়ে দিলেও চলবে না। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি সর্বসম্মত চুক্তিকে হেয় প্রতিপন্ন করতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে।

এদিকে পরমাণু চুক্তির আওতায় ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেও সন্ত্রাসবাদ, মানবাধিকার ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের নামে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েই যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানে অঙ্গহানিসহ অত্যাচার, নিষ্ঠুরতা, অমানবিকতা ও মানহানিকর ব্যবহার বা শাস্তির জন্য আয়াতুল্লাহ আমলি-লারিজানি দায়ী।

রাজস্ব বিভাগ তিনিসহ তালিকাভুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ জব্দ করার পাশাপাশি মার্কিন নাগরিকদের এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ ‍দিয়েছে। ওই নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিও ব্যবসা করতে পারবে না বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

এ নিষেধাজ্ঞারও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইরান। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সীমা অতিক্রম করেছে বলেও সতর্ক করেছে দেশটি। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ অভিযোগ করেন, ট্রাম্প অনেকবার ‘ব্যর্থ হওয়ার পরও ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে ও প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।’