সন্ত্রাসের অভিযোগ অস্বীকার যুক্তরাজ্যে আটক বাংলাদেশির

সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক মহিউসসুন্নাত চৌধুরী। এর আগে যুক্তরাজ্যের বাকিংহাম প্যালেসের কাছে তরবারিসহ আটকের পর তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

nonameযুক্তরাজ্যের লুটনের বাসিন্দা মহিউসসুন্নাত চৌধুরী পেশায় একজন ট্যাক্সিচালক। গত ২৫ আগস্ট লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। সে সময় তার তরবারির আঘাতে তিন পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হন। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সন্ত্রাসবিরোধী কমান্ডের পক্ষ থেকে ওই ঘটনার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়।

স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড বলছে, কনস্টিটিউশন হিলের কাছে সংরক্ষিত এলাকায় গাড়ি থামিয়ে মহিউসসুন্নাত একটি তরবারি বের করেন। সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ তা দেখতে পেয়ে তাকে আটক করে। ওই সময় তিনি নিজেও সামান্য আহত হন।

মিটস এলাকার সন্ত্রাসবাদবিরোধী কমান্ডের প্রধান ডিন হায়দন সে সময় বলেছিলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি লোকটি একাই এ কাজের সঙ্গে জড়িত। এ ঘটনায় আর কাউকে সন্দেহ করছি না। তবে লোকটি কী করতে যাচ্ছিল তা বুঝতে পারছি না। তদন্তে বিষয়টির ওপর জোর দেওয়া হবে।’

মহিউসসুন্নাত চৌধুরীকে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বেলমার্শ কারাগার থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতের সামনে হাজির করা হয়। সে সময় তিনি নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। এর আগে গত জুন মাসে একই আদালত আরেক অভিযোগে তাকে এক সপ্তাহের রিমান্ড ‍দিয়েছিল।

মেট্রোপলিটন পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছিল, ‘মহিউসসুন্নাত চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২৫ আগস্ট বা তার আগে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে প্রস্তুতির অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০০৬ সালের সন্ত্রাসবাদ আইনের ৫(১) ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।’ 

ওই ঘটনার কয়েকদিন পর ৩০ বছর বয়সী আরেকজনকে আটক করেছিল পুলিশ। কিন্তু তাকে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথসহ রাজপরিবারের সদস্যরা বাস করেন। তবে ঘটনার দিন কেউ প্রাসাদে ছিলেন না।