‘তালেবানের হাতেই খুন হয়েছিলেন বেনজির ভুট্টো’

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে হত্যা করেছে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান। এমনটাই দাবি করা হয়েছে দলটির এক নেতার লেখা এক বইয়ে। উর্দুতে লেখা বইটির নাম 'ইনকিলাব মেহসুদ সাউথ ওয়াজিরিস্তান-- ফ্রম ব্রিটিশরাজ টু আমেরিকান ইমপেরিয়ালিজম'। এটি লিখেছেন তালেবান নেতা আবু মনসুর আসিম মুফতি নুর ওয়ালি। বইতে তিনি দাব করেন, বিলাল ওরফে সাঈদ ও ইকরামুল্লাহ নামের দুইজনকে আত্মঘাতী হামলা চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

nonameবইটিতে বলা হয়েছে, বেনজির ভুট্টোর ওপর হামলার দায়িত্ব দেওয়া হয় দুই আত্মঘাতী হামলাকারীর ওপর। তারা প্রথমে বেনজির ভুট্টোকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পরে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর বেনজির যখন নির্বাচনি জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন তখনই পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই তালেবান সদস্য। ওই সময় এ হত্যাকাণ্ডের জন্য তেহরিক-ই-তালেবানকে দায়ী করেন পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ। তবে পাকিস্তান তালেবানের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ওই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করা হয়নি।

বেনজির ভুট্টোর বাবা জুলফিকার আলী ভুট্টো ছিলেন পাকিস্তানে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রধানমন্ত্রী। তিনিও অকালে রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউল হক তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন।

জুলফিকার আলী ভুট্টোর মেয়ে বেনজির ভুট্টো ১৯৯০-এর দশকে দুইবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। দায়িত্ব পালনকালে তার ও তার স্বামী আসিফ আলী জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। তাকে যখন হত্যা করা হয় তখন তিনি তৃতীয় দফায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য লড়ছিলেন। এমন সময়ে তার হত্যাকাণ্ড সমর্থকদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। রাস্তায় নেমে আসেন বেনজির সমর্থকরা। ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য বিভিন্ন সময়ে তালেবান ছাড়াও পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফের নাম সামনে এসেছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, বিবিসি।