হজযাত্রীদের আর ভর্তুকি দেবে না ভারত

হজ পালনের উদ্দেশ্যে ভারত থেকে সৌদি আরবে গমনেচ্ছুদের জন্য আর ভর্তুকি দেবে না ভারত। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ভারতের সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি এই ঘোষণা দেন। ভারত সরকারের দাবি, এই ভর্তুকির মধ্য দিয়ে মুসলমানরা লাভবান হন না; বরং পুরো টাকা বিমান সংস্থাগুলোর পকেটে যায়। সংখ্যালঘু উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্পে এবং নারী শিক্ষায় হজ-ভর্তুকির জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করা হবে বলে জানান নাকভি।
noname

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবছর হজ যাত্রায় ৭০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। হজযাত্রীদের সুবিধার্থে এই ভর্তুকি দেওয়া হত। ২০১২ সালে ইউপিএ জোট ক্ষমতায় থাকাকালে ২০২২ সালের মধ্যে ধাপে ধাপে ভর্তুকি তুলতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। শীর্ষ আদালতের রায়ের পর গঠিত হয় বিশেষ কমিটি। সেই কমিটির সুপারিশ মেনে প্রতিবছর ধাপে ধাপে কমানো হয় হজ-ভর্তুকির পরিমাণ। যেমন- ২০১৩ সালে এই খাতে বরাদ্দ করা হয় ৬৮০ কোটি। ২০১৪ সালে হয় ৫৭৭ কোটি, ২০১৫ সালে ৫২৯ কোটি এবং ২০১৬ সালে ৪০৫ কোটি। ক্ষমতার পালাবদল হওয়ার পর ভর্তুকি পাকাপাকিভাবে তুলে দিতে ভাবনাচিন্তা শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। এই নিয়ে দীর্ঘ পর্যালোচনা করার পর অবশেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানালো কেন্দ্র।

নাকভি জানান, ভর্তুকি ছাড়াই এবছর ১ লক্ষ ৭৫ হাজার মুসলিম ভারত থেকে হজযাত্রায় যাবেন। সংখ্যার বিচারে যা রেকর্ড। তিনি মনে করিয়ে দেন, এই ভর্তুকিতে এতদিন মুসলিমদের কোনও ফায়দা হতো না। কারণ, এই ভর্তুকি দেওয়া হত বিমান ভাড়া বাবদ। ফলত, পুরো টাকাটাই যেত বিমান সংস্থাগুলির পকেটে। নাকভি জানান, গরিব মুসলিমদের হজযাত্রায় সুবিধা দেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করছে কেন্দ্র। নাকভি বলেন, এরইমধ্যে জাহাজে করে তাদের হজে পাঠানোর ব্যাপারে সৌদি আরবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই যাত্রার খুঁটিনাটি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান তিনি।