সিরিয়ায় কুর্দি সেনাদের সমর্থন দিবে না যুক্তরাষ্ট্র

সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কুর্দি সেনাদের কাছ থেকে সমর্থন সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট তাদের আর সমর্থন করে না বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা। বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

b1f65383a33a469da6e6573a7d79037b_18

প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে সিরীয় কুর্দি সেনাদের অস্ত্র সরবরাহ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সীমান্তে বিশাল কুর্দি সেনাদের বহর নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা আসলো।

সিরিয়ার কুর্দি পিপলস প্রটেকশন ইউনিটকে আইএস মোকাবেলায় সবচেয়ে কার্যকরী সহযোগী হিসেবে মনে করে আসছে। তাদের অস্ত্র, বিমান হামলা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সহায়তা করেছিলো মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট। সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশের আফ্রিন অঞ্চলে প্রায় ৮-১০ হাজার কুর্দি সেনা রয়েছে।    

পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর আদ্রিয়ান রানকিন বলেছেন, মার্কিন জোট আফ্রিন এলাকায় ‍কুর্দি সেনাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের আমাদের অংশ মনে করি না। তারা সেখানে কি করছে আমরা জানি না এবং সমর্থন করি না। আমরা কোনোভাবেই তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নই।’  

মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের মুখপাত্র কর্নেল ডিলন বলেন, আমরা আফ্রিন কার্যক্রম পরিচালনা করছি না। আমরা তাদের সমর্থনও করছি না।’

আল-জাজিরার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সেখানে কোনও ঘটনার জন্য দায়ী থাকবো না। আমরা সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি ও অস্ত্র সরবরাহ করছি।

এর আগে সিরিয়া সীমান্তে বিশাল সামরিক বহর পাঠায় তুরস্ক। দু'টি প্রদেশে অন্তত ৪০টি ট্যাংক ও সামরিক যান পাঠানো হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে তুরস্কের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা আনাদুলুর খবরে এসব কথা বলা হয়েছে। তুর্কি সীমান্তে মার্কিন সামরিক বাহিনী মোতায়েনের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিলো আঙ্কারা।

সিরিয়ার তুর্কি সীমান্তে ৩০ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী মোতায়েনের মার্কিন সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, তুরস্কের দক্ষিণ সীমান্তে একটি সন্ত্রাসী সেনাবাহিনী গঠনের চেষ্টা করছে আমেরিকা। ওই বাহিনীকে অঙ্কুরেই ধ্বংস করে দিতে হবে।