ট্রাম্পের দক্ষিণ এশিয়া নীতির প্রতিবাদ করা উচিত ছিল: হিনা

ট্রাম্পের দক্ষিণ এশীয় পররাষ্ট্রনীতির তীব্র সমালোচনা করে পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানী খার বলেছেন, ওই নীতি ঘোষিত হওয়ার সময়েই পাকিস্তানের উচিত ছিল তীব্র প্রতিবাদ করা। ‍তিনি বলেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে থাকলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটকে উপেক্ষা করে যেতেন। পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্র তিন হাজার তিনশ মার্কির ডলার সহায়তা করেছে বলে ট্রাম্পের টুইট বিষয়ে তিনি এ কথা বলেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন হিনা রাব্বানী খারের ওই সাক্ষাৎকার নিয়েছে।
হিনা রব্বানী

টুইট বার্তায় সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের পাশে না থাকলে পাকিস্তানকে ‘অনেক কিছু হারাতে হবে’ বলে সতর্ক করেন ট্রাম্প। তিনি অভিযোগ করেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসীদের কাছে ‘নিরাপদ স্বর্গ’ বলে বিবেচিত হচ্ছে। সহায়তা বন্ধের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানকে কোটি কোটি ডলার সহায়তা দিচ্ছি- আর তারা সেইসব সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দিচ্ছে যাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করছি।’

সাক্ষাৎকারে হিনা বলেন, ‘আমি টুইটের বদলে টুইটকারীকে নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হতাম। কোনও সুপারপাওয়ার যখন নিজেদের বিদেশ নীতি টুইট করে তখন তাকে উপেক্ষা করাই উচিত।’ তিনি বলেন, টুইটারে আসক্ত এই ব্যক্তি (ট্রাম্প) উটকো বিষয় নিয়েই বেশি টুইট করে। মনে হয়, ঘুম থেকে উঠে বিছানার কোন পাশে ছিলেন তিনি তাও টুইট করতে চান। আগের সব টুইটের পর এই টুইটের চেয়ে টুইটকারীকে নিয়ে আমাদের বেশি উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।’

কখন পাকিস্তানের প্রতিবাদ জানানো উচিত তা জানতে চাইলে হিনা রাব্বানী বলেন, ‘যখন যুক্তরাষ্ট্র তাদের দক্ষিণ এশিয়া নীতি ঘোষণা করেছে তখনই প্রতিবাদ জানানো উচিত ছিল। ওই ঘোষণায় পাকিস্তানের জন্য উৎসাহজনক কিছুই ছিল না। আর সেটা তাদের সরকারি নীতি ছিল।’