এক বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েল দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে ভারত সফররত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, তার প্রত্যাশা এক বছরের মধ্যেই জেরুজালেমে যাবে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর করা হবে। এরমধ্যেই বুধবার নেতানিয়াহু’র ওই দাবিকে দৃশ্যত নাকচ করে দিলেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
এর আগে গত ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেন ট্রাম্প। তার ওই ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোসহ দুনিয়াজুড়ে সমালোচনার জন্ম দেয়।
ট্রাম্পের ওই ঘোষণার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনও বলেছেন, তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরে অন্তত তিন বছর সময় লাগবে।
ট্রাম্পের ওই বিতর্কিত ঘোষণার প্রেক্ষিতে এরইমধ্যে অসলো চুক্তি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছে ফিলিস্তিনের ক্ষমতাসীন দল পিএলও। এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলকে দেওয়া স্বীকৃতি স্থগিত করতে যাচ্ছে দলটি। ৯০ দশকে স্বাক্ষরিত অসলো চুক্তির মাধ্যমে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল পরস্পরকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত ওই চুক্তিটি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহরে পিএলও’র এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
১৯৯০ এর দশকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-ফিলিস্তিন অসলো চুক্তি হয়। ১৯৯৩ সালে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তির মধ্য দিয়ে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের ক্ষমতাসীন দল পিএলও প্রথমবারের মতো পরস্পরকে স্বীকৃতি দেয়। চুক্তিতে গাজা উপত্যকাকে পশ্চিম তীর থেকে পৃথক করার সুপারিশ করা হয়। তবে সব আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার পর এটি পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএলও।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা নাবিল শাত সে সময় জানান, ওই চুক্তি বাতিলের বিষয়ে আলোচনা করবে পিএলও’র কেন্দ্রীয় কাউন্সিল।