সহসা মুক্তি পাচ্ছে না আহেদ তামিমি

বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি শিশু আহেদ তামিমিকে জেলে রাখার নির্দেশ দিয়েছে  ইসরায়েলের একটি আদালত। তবে বিচার কার্যক্রম কতদিন চলবে সেই ব্যাপারে কোনও স্পষ্ট আভাস পাওয়া যায়নি। তাই সহসা তার মুক্তির সম্ভাবনা নেই। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাকে থাপ্পড় মেরে জাতি মুক্তি আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠা তামিমির বিরুদ্ধে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে ৩১ জানুয়ারি। ওইদিনই ১৭ বছর বয়স পূর্ণ করবে ফিলিস্তিনি এই শিশু।

আহেদ তামিমি
দখলদার ইসরায়েলি সেনাকে থাপ্পড় ও লাথি মারার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর আলোচনায় আসে আহেদ তামিমি। এমন দুঃসাহসিকতা দেখানোয় গত ডিসেম্বরে মা-সহ তাকে গ্রেফতার করে ইসরায়েলি সেনারা। জানুয়ারির শুরুতে তার বিরুদ্ধে ১২টি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরমধ্যে রয়েছে ইসরায়েলি সেনাকে লাঞ্ছিত করা,তাদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া এবং পাথর ছোড়ার মতো অভিযোগ।তামিমির মুক্তির দাবি ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী। ওই শিশু হয়ে উঠেছে ফিলিস্তিনি জনগণের মুক্তি আন্দোলন ও তৃতীয় ইন্তিফাদার প্রতীকী চরিত্র। ফিলিস্তিনি ও ফিলিস্তিন মুক্তি আন্দোলনের সমর্থকদের কাছে ‘ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের নারী নেত্রী’ স্বীকৃতি পেয়েছে তামিমি।

প্রতিবাদী ফিলিস্তিনি শিশু আহেদ তামিমি
আহেদ তামিমির আটকের মেয়াদ কয়েক দফায় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ দখলকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহরে ইসরায়েলের অফার সামরিক আদালত তার আটকের মেয়াদ ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছিল। আর ১৭ জানুয়ারি আদালত নির্দেশ দিয়েছে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত যেন তাকে জেলে রাখা হয়। তামিমির আইনজীবী গাবি লাস্কি আল জাজিরাকে বলেন, বিচার কতদিন চলবে তা তার জানা নেই।

রামাল্লাহর কাছের নাবি সালেহ গ্রামের তামিমি পরিবার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের জন্য সেখানকার পরিচিত মুখ। আহেদ এবার প্রথমবারের মতো গ্রেফতার হলেও তার মা নারিমান অন্তত পাঁচবার গ্রেফতার হয়েছেন। আহেদের বাবা বাসেম তামিমিও বেশ কয়েকবার কারাগারে গেছেন।