এবার ফিলিস্তিনিদের জন্য ৪৫ মিলিয়ন ডলার খাদ্য সহায়তা স্থগিত করলেন ট্রাম্প

ফিলিস্তিনিদের জন্য জরুরি খাদ্য সহায়তা হিসেবে প্রতিশ্রুত ৪৫ মিলিয়ন ডলার দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত মাসে পশ্চিম তীর/গাজা উপত্যকায় জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) এর করা জরুরি আবেদনের প্রেক্ষিতে এই সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। তবে বৃহস্পতিবার সেটি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।

04912f838e23e6d0944ee23ce795807e-5a5ebd86e48b2ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউএআরডব্লিউএ কমিশনার জেনারেল পিয়েরে ক্রাহেনবুল ১৫ ডিসেম্বর পশ্চিম তীর ও গাজার জন্য ৪৫ মিলিয়ন ডলারের জরুরি সহায়তা চান। জবাবে পররাষ্ট্র দফতরের এক চিঠিতে বলা হয়, ‘২০১৮ সালের শুরুর দিকেই এই সহায়তা দেওয়া হবে।’ তবে এবার সে অবস্থান থেকে সরে এসেছে তারা।

গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্র দফতর থেকে ঘোষণা আসে যে তারা ফিলিস্তিনিদের জন্য কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থায় বরাদ্দকৃত সহায়তার পরিমাণ অর্ধেকের বেশি কমিয়ে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফিলিস্তিনিদের জন্য ১২৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে ৬০ মিলিয়ন ডলার। তারা দাবি করে, জাতিসংঘের এই সংস্থায় সংস্কার প্রয়োজন।

দফতরের মুখপাত্র হেদার নরেট দাবি করেন, ফিলিস্তিনিদের শাস্তির উদ্দেশ্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। জাতিসংঘের সংস্থাকে তারা কখনোই ৪৫ মিলিয়ন ডলারের নিশ্চয়তা দেয়নি। শুধু সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিলো।  

তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা দিচ্ছিনা তার মানে এই না যে আমরা ভবিষ্যতেও সহায়তা করবো না।’

আবারও জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থার সংস্কারের কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশ থেকে আসা অর্থেরও সুষ্ঠু বণ্টন প্রয়োজন। আমরা অন্যান্য দেশকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তা বন্ধ করলেও নরেট দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বে সবচেয়ে উদার দেশ। এবং তারা এভাবেই থাকবে।

২ জানুয়ারি এক টুইটবার্তায় ট্রাম্প জানিয়েছিলেন ফিলিস্তিনিদের জন্য কোটি কোটি ডলার খরচ করছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু কোনও ফল আসছে না।