জয়নাবের খালার বাড়ির আশপাশেই ঘোরাফেরা করছে খুনি?






পাঞ্জাব পুলিশ জয়নাব ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় নতুন এক সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করেছে। ফুটেজে সন্দেহভাজন ধর্ষক ও খুনির সম্ভাব্য অবস্থান শনাক্ত করার দাবি করেছে পুলিশ। পাঞ্জাব পুলিশকে উদ্ধৃত করে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, ফুটেজে জয়নাবের সন্দেহভাজন হত্যাকারীকে ৪ জানুয়ারি তারিখে পাঞ্জাবের কাসুর শহরে জয়নাবের খালার বাড়ির আশপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। এর আগেও ঘটনার একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে। তবে তদন্তে কোনও অগ্রগতি হয়নি।

জয়নাব হত্যার পর পাকিস্তনজুড়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সংগৃহীত ছবি
বাবা-মা ওমরাহ পালন করতে যাওয়ায় ওই খালার বাড়ি থেকে বের হয়ে সেদিনই নিখোঁজ হয় শিশুটি। পরে ৯ জানুয়ারি এক মাইল দূরের একটি আবর্জনার স্তুপ থেকে উদ্ধার করা হয় তার মরদেহ। তদন্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ডনের খবরে বলা হয়, তদন্তের আওতা দুই কিলোমিটার থকে বাড়িয়ে তিন কিলোমিটার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে শুক্রবার ডন জানিয়েছে, তদন্তের আওতা বাড়ানোর পরও এই মামলায় উল্লেখযোগ্য কোনও অগ্রগতি হয়নি।
জয়নাব হত্যার ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীকে ধরতে লাহোর হাইকোর্ট আলটিমেটাম দেওয়ার পর আগে আরও দুটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে পুলিশ। প্রকাশ করা হয় সন্দেহভাজন অপরাধীর দুটি আলাদা স্কেচ। বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আটকের পর তাদের সঙ্গে ডিএনএ নমুনা না মেলার কথা জানায় পুলিশ।

গত সপ্তাহে পাঞ্জাব পুলিশ প্রধান আরিফ নওয়াজ খান বলেছিলেন, জয়নাব হত্যার ঘটনায় তদন্তকারী সব সংস্থাই অপরাধীকে ধরার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ খুব দ্রুত অপরাধীকে ধরতে সক্ষম হবে। তবে এই মামলার বড় কোনও অগ্রগতি হয়নি।
তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন জয়নাবের পরিবারের সদস্যরা।
এক বছরে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হওয়া ১২তম শিশু জয়নাব। পাঞ্জাব পুলিশের একটি নথির বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি গত ১৩ জানুয়পারি জানায় এক বছরের মধ্যে পর্যন্ত কাসুরে দশটি একই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার শিকার হওয়াদের মধ্যে জয়নাবসহ ছয়জনের দেহে একই ডিএনএ পাওয়া গেছে।