ট্রুডোকে বন্দিত্বের গল্প শোনাতে চায় আইএস-এর কবল থেকে মুক্ত শিশু

কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস এর হাত থেকে মুক্ত হওয়া ইয়াজিদি শিশু ইমাদ মিশকো তামো। ইয়াজিদি অ্যাসোসিয়েশন অব মানিতোবার পক্ষ থেকে প্রকাশিত ভিডিওতে এ আগ্রহ প্রকাশ করা হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় বার্তা সংস্থা ইন্ডিয়া ব্লুমস। ইমাদ মিশকো কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে চায় যেন অন্য বন্দিদেরকেও বিপদমুক্ত করতে সবাই এগিয়ে আসতে পারে।       

আইএস থেকে মুক্ত হওয়া ইয়াজিদি শিশু ইমাদ
১৩ বছর বয়সী ইয়াজিদি শিশু ইমাদ মিশকো তামোকে তিন বছর ধরে আটকে রেখেছিল আইএস। এক বছর আগে সে আইএস এর হাত থেকে মুক্ত হয়ে কানাডায় ফিরে যায়।ইয়াজিদি অ্যাসোসিয়েশন অব মানিতোবার পক্ষ থেকে প্রকাশিত ভিডিওতে ইমাদ বলতে থাকে, ‘আমার মতো হাজার হাজার শিশু আছে যারা এখনও বন্দি হয়ে আছে। আমি আমার গল্প বলতে চাই যেন অন্য যারা এখনও বন্দিদশায় এবং বিপদে আছে তাদেরকে বাঁচাতে কেউ এগিয়ে আসতে পারে। আমি আমার বন্দিত্বের গল্প শোনাতে চাই এবং বন্দিদশায় থাকা অন্য ইয়াজিদি শিশুদের কণ্ঠস্বরে পরিণত হতে চাই।’

ট্রুডোর সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ জানিয়ে ইমাদকে ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, ‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে আমি আমার অভিজ্ঞতার কথা জানাতে চাই। অনুগ্রহ করে আপনি কি আমার সঙ্গে দেখা করবেন?’

জাস্টিন ট্রুডো

২০১৪ সালে আইএস কানাডা থেকে আসা ইয়াজিদেরকে স্থানচ্যুত করলে মায়ের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ইমাদ। তিন বছর আটকে রাখার পর গত বছর মসুলে তাকে ছেড়ে দেয় জঙ্গি সংগঠনটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক আত্মীয় ইমাদের ছবি দেখার পর ছেলের সন্ধান পান মা নোফা মিহলো জাগলা। ইয়াজিদি অ্যাসোসিয়েশনের সহায়তা নিয়ে ২০১৭ সালের আগস্টে ছেলেকে ফিরে পান তিনি।

ইয়াজিদি অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট হাদজি হেসো সিটিভি নিউজকে বলেন: ‘অনেক শিশু বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে ফিরে আসছে কিন্তু তাদের বাবা-মা নেই, পরিবার নেই। তাদের সবাইকে হয়তো হত্যা করা হয়েছে কিংবা তাদের ওপর তাণ্ডব চালানো হয়েছে। কেউ জানে না তাদের পরিবারের বাকি সদস্যরা কোথায়।’

কানাডার অভিবাসনমন্ত্রী আহমেদ হুসেনের ইমেইলকে উদ্ধৃত করে সিটিভি নিউজ জানায়, আইএস এর বন্দিদশা থেকে মুক্ত হওয়াদের ফিরিয়ে আনতে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাগাদ সরকারিভাবে প্রায় ১২০০টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। ১ হাজারেরও বেশি মানুষ এরইমধ্যে কানাডায় পৌঁছেছে। এর মধ্যে ৮১ শতাংশই ইয়াজিদি।