আন্তর্জাতিক পক্ষ হয়ে আসলে শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে মানবেন আব্বাস





আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশ হয়ে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আসলে তা মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। আরব৪৮.কম এর খবরের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের খবর পর্যবেক্ষণকারী ব্রিটিশ ওয়েবসাইট মিডলইস্ট মনিটর। ব্রিটিশ ওয়েবসাইটটি জানিয়েছে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসিকে এই নতুন বার্তা দিয়েছেন আব্বাস। যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিলে শান্তি প্রক্রিয়ায় তাদের মানতে অস্বীকৃতি জানায় ফিলিস্তিন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মাহমুদ আব্বাস। পুরনো ছবি

কয়েক দশকের মার্কিন রীতির অবসান ঘটিয়ে গত বছরের ছয় ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরোয়েলের রাজধানী স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে নেওয়ার ঘোষণা দেন। আর এরপরই ফিলিস্তিনসহ বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয় মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া আর কোন পদক্ষেপ মানবে না তারা।
গতকাল সোমবার আরব৪৮.কমের খবরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফিলিস্তিনি সূত্রের বরাতে জানানো হয় প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস মিশরের প্রেসিডেন্টকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততা  মেনে নেওয়া হবে যদি তারা কোন আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের অংশ হয়ে আসে। সেক্ষেত্রে জেরুজালেমকে দেওয়া মার্কিন স্বীকৃতি বহাল থাকার পরও মেনে নেবেন তারা।
এছাড়া ব্রাসেলস সফররত আব্বাস ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন বলে ওই খবরে জানানো হয়। সাক্ষাতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানান আব্বাস। তবে তাতে ইতিবাচক সাড়া দেয়নি ইইউ। এছাড়া ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরার ক্ষেত্রেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকা আশা করেন আব্বাস।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স মধ্যপ্রাচ্য সফরে থাকার মধ্যেই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের এই মনোভাবের কথা জানা গেল। ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে তিনি মিশর আর জর্ডানের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
জর্ডানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের সময় মাইক পেন্স বলেছেন মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যা সমাধানে তিনি দ্বিরাষ্ট্র ভিত্তিক নীতিতেই বিশ্বাসী। তবে ইসরায়েল সফরে গিয়ে তিনি বলেছেন জেরুজালেমই হবে ইসরায়েলের রাজধানী। দ্বিরাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের ক্ষেত্রে ইসরায়েলের এই দাবিকেই সবচেয়ে বড় বাধা বলে দাবি করে থাকে ফিলিস্তিন।