আরও এক মামলায় লালু যাদবের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড





পশুখাদ্য ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় ভারতের বিহার রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব ও তার দীর্ঘদিনের সহকারী জগন্নাথ মিশ্রকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার রায় দিয়েছে আদালত। আগে দুটি মামলায় কারাদণ্ড পাওয়া ভারতের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) নেতা লালু যাদব বর্তমানে রাঁচি কারাগারে রয়েছেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের ঘোষণা দিয়েছেন তার ছেলে। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে।

লালু প্রসাদ যাদব। ফাইল ছবি

১৯৯০ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। ওই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থ ব্যয় করে পশু খাদ্য ক্রয় করার নামে ৯৭০ কোটি রুপি আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বুধবার রায় ঘোষণা করা মামলায় তার বিরুদ্ধে ১৯৯২-৯৩ সালে সাত লাখ দশ হাজার রুপি বরাদ্দের বিপরীতে ৩৩ কোটি ৬৭ লাখ রুপি আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। তাকে এই ষড়যন্ত্রের মূল কুশিলব হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)।
রায় ঘোষণার পর লালুর ছেলে ও বিহার বিধান সভার বিরোধী দলীয় নেতা তেজাশ্বরী যাদব বলেছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করবে তার দল। প্রয়োজনের সুপ্রিম কোর্টেও যাওয়ার কথা জানান আরজেডি দলের এই নেতা।
চলতি মাসের শুরুতে আরও একটি মামলায় সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড হয় লালু যাদবের। ওই রায়ের পর উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করলে তার শুনানি এখনও চলছে। বর্তমানে রাঁচির বিরশা মুন্ডা কারাগারে আটক আছেন লালু। চার বছর আগে তার বিরুদ্ধে প্রথম রায় ঘোষণা করা হয়। সে সসময় দুই মাস কারাগারে আটক থাকার পর জামিনে মুক্তি পান তিনি।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে লালুর বিরেুদ্ধে পশু খাদ্য ক্রয় সংক্রান্ত ৫টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলার ৩৪ আসামির মধ্যে ১১ জন বিচার চলাকালে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে একজন দোষ স্বীকার করেছিলেন। দোষী সাব্যস্ত ১৬ জনের মধ্যে ফুলচাঁদ মণ্ডল, বিক জুলিয়াস ও মহেশ প্রসাদ নামে ভারতীয় প্রশাসনের তিন কর্মকর্তাও রয়েছেন।