ইয়েমেনে সৌদি বিমান হামলায় শিশুসহ নিহত ৯

ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের বিমান হামলায় চার শিশুসহ অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। দুইদিনে এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩০। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

yemen-air-strike-1024

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজেহ জেলার আল আলি অঞ্চল থেকে যাওয়ার সময় একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে এই বিমান হামলা চালানো হয়। এই অঞ্চলে অনেকদিন ধরেই সরকারি বাহিনী ও হুথি বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ চলে আসছে।

সৌদি জোটের এক মুখপাত্র জানান, আমরা এই অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়ে গেছে। তদন্তানাধীন থাকার কারণে কিছু বলতে পারছি না।

২০১৫ সাল থেকেই হুথিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সেখানে বিমান হামলা চালাচ্ছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অনেক বেসামরিক। বাস্তুহারা হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। 

ইয়েমেনে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে অন্তত ৪৫০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৭৯ জন নিহত হয়েছেন সৌদি জোটের বিমান হামলায়। ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হয়েছেন ১২১ জন। জাতিসংঘের আশঙ্কা, দেশটিতে বিশ্ব-ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যে জোরালো নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সৌদি জোট যখন ইয়েমেনের বিরুদ্ধে অবরোধের ডাক দিয়েছে, তখনই এই আশঙ্কা প্রকাশ করে জাতিসংঘ। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের তাণ্ডব এরইমধ্যে দুর্ভিক্ষ ও মহামারি এনেছে দেশটিতে। নতুন করে সেখানে অবরোধ আরোপে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করে সংস্থাটি।

সোমবার সাদা প্রদেশের রাজধানীতে সৌদি জোটের এক বিমান হামলায় একটি ছোট ক্লিনিক ধ্বংস হয়ে যায়। পাঁচ শিশুসহ প্রাণ হারান সাতজন।  

এমন বিমান হামলার জন্য বরাবরই সমালোচিত হয়ে আসছে মার্কিন সমর্থিত জোটটি। তবে সৌদি জোটের দাবি, তার শুধু সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করেই হামলা চালায়।

এর আগে সোমবার ইয়েমেনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তাইজ প্রদেশের নাসমা শহরে নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলাকালে ৬টি রকেট হামলা চালানো হয়। হামলায় একটি ভবনে থাকা এতে চার সেনা সদস্য ও পাঁচ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। অনুষ্ঠানে সৌদি সমর্থিত ইয়েমেন সরকারের সহকারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে উপস্থিত ছিলেন।