বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে প্রিন্স চার্লসের দাতব্য সংস্থা

বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের প্রিন্স চার্লসের দাতব্য সংস্থা ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট। দক্ষিণ এশিয়ায় দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ১০ বছর আগে দাতব্য সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের এ সদস্য। প্রিন্স চার্লস এবার ঘোষণা দিয়েছেন, ২০১৮ সাল থেকেই বাংলাদেশে তার সংস্থার পরিধি বিস্তৃত করা হবে।

nonameব্রিটিশ রাজপরিবারের উত্তরাধিকারী প্রিন্স চার্লস ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা-পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশের বেক্সিমকো গ্রুপের পরিচালক শায়ান রাহমানের নির্দেশনায় বাংলাদেশের কার্যক্রম শুরু করবে দাতব্য সংস্থাটি।

দাতব্য সংস্থাটির ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানেই বাংলাদেশে সংস্থাটির কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেন প্রিন্স চার্লস। তিনি বলেন, ‘আমার ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে।’

প্রিন্স চার্লস জানান, ঢাকা থেকে ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টের কার্যক্রম শুরু করতে আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন সংস্থাটির সিইও রিচার্ড হকস।

বাংলাদেশে স্থানীয় দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করবে ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট। দেশে ট্রাস্ট সমর্থিত প্রকল্পগুলো সম্পর্কে আগামী মাসের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।

প্রিন্স চার্লস বলেন, ‘আমি শুধু বলতে পারি এক্ষেত্রে সমর্থন যোগানোর জন্য আমি আমাদের বাংলাদেশ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের চেয়ার শায়ান রহমানের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।’

নতুন একটি ডেভেলপমেন্ট ইমপ্যাক্ট বন্ড (ডিআইবি)-এর মাধ্যমে সামাজিক অর্থায়নে গুরুত্ব দিচ্ছে ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট। ভারতে দুই লাখ শিশুর শিক্ষার উন্নয়নে ১০ মিলিয়ন ডলারের একটি বন্ড নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে তাদের আগামীর অগ্রদূত হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা নেবে সংস্থাটি।

ঢাকা সফরের প্রাক্কালে ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টের সিইও রিচার্ড হকস বলেন, ‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে অন্যান্য সামাজিক আর্থিক উদ্যোগ সম্পর্কে আমরা কথাবার্তা বলছি। যদি একটি ধারণা সফল প্রমাণিত হয় তবে তা গ্রহণ করতে হবে।

মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য প্রবাসী দক্ষিণ এশীয়দের অসাধারণ উদারতার এবং সাহায্যের মানসিকতার প্রশংসা করেন প্রিন্স চার্লস।