আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে 'খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড'র খবর

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা ঘোষণার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম তা গুরুত্বের সঙ্গে সামনে এনেছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি ও সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট, ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি, কাতারভিত্তিক আল জাজিরা, পাকিস্তনের জিও টিভি, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্ক্রল.ইন এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
noname

‘শারীরিক ও সামাজিক দিক বিবেচনায় নিয়ে’ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার ৫ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার অপর আসামি তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচ জনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এ পর্যন্ত আসা এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোতে ঘোষিত সাজাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে ঘোষিত সাজার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, রায় ঘোষণার সময় খালেদা-সমর্থকদের ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ।

রায় ঘোষণার সময় বিচারক জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯ ও ১০৯ ধারার অপরাধ প্রমাণ হয়েছে। ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো.আখতারুজ্জামান দুপুর ২টা ২৯ মিনিটে এ রায় দেন। কাতারভিত্তিক আল জাজিরার খবরে এই মামলাটিকে ‘রাজনৈতিকভাবে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ’ আখ্যা দিয়েছে।

বেলা সোয়া ২টার দিকে আদালত হাজির হন খালেদা জিয়া। এসময় তার সঙ্গে বিএনপি’র শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। রায় শোনার পর আদালতে উপস্থিত খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা হট্টগোল শুরু করেন। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি তাদের শিরোনামে লিখেছে, ‘দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ৫ বছরের কারাদণ্ড’। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি তাদের প্রতিবেদনের শিরোনামে লিখেছে, ‘দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া দোষী সার্ব্যস্ত’। প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে ঘোষিত সাজার প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে।

কুয়েত থেকে এতিমদের জন্য পাঠানো দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করে দুদক। ওই বছরই ৪ জুলাই মামলাটি গ্রহণ করেন আদালত। তদন্ত শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।