যৌন অসদাচরণের ব্যাপারে কঠোর হচ্ছে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট

যৌন অসদাচরণের ব্যাপারে কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট। বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রকাশিত এক নতুন প্রতিবেদনে রাজনীতিতে যৌন অসদাচরণের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে যৌন অসদাচরণের সঙ্গে যুক্ত এমপি ও তাদের সঙ্গীদের বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে একটি নতুন অভিযোগ পদ্ধতি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাধীন তদন্ত প্রক্রিয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবনএ সংক্রান্ত কমিটির চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন হাউস অব কমন্স নেতা আন্দ্রিয়া লিডসম।

প্রতিবেদনে আচরণ পরিবর্তনের সর্বোত্তম গ্যারান্টির প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কর্মস্থল সংস্কৃতিতে বিশেষত কর্মীদের আচরণে পরিবর্তন আনা জরুরি ও অপরিহার্য।

প্রতিবেদন তৈরিতে লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টারের রাজনীতিতে যুক্ত এক হাজার ৩৭৭ জনের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়েছে। এতে রাজনীতিতে যৌন হয়রানির প্রমাণ মিলেছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রতি পাঁচ জনে একজন বা প্রায় ২০ শতাংশ কর্মী জানিয়েছেন, তারা যৌন অসদাচরণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন।

এমপিদের স্টাফদের অর্ধেকেরও বেশি সংখ্যক বলেছেন, তাদের এমন অভিজ্ঞতা রয়েছে কিংবা এমনটা প্রত্যক্ষ করেছেন অথবা তাদের চাকরিতে যৌন হয়রানির ব্যাপারে শুনেছেন। এমন স্টাফদের হার ৫৩ শতাংশ।

প্রায় ৩৯ শতাংশ স্টাফ ও এমপিরা জানিয়েছেন, তাদের হয়রানির শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে সেটা যৌন হয়রানি ছিল না। এমন হয়রানির শিকার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৪৫ শতাংশ নারী এবং ৩৫ শতাংশ পুরুষ।

নতুন প্রতিবেদনে অযৌক্তিক আচরণের সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের মতো কঠোর পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে।

এই প্রতিবেদন নিয়ে এখন ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে। এমপিরা এই প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো গ্রহণ করা বা না করার বিষয়ে নিজেদের মতামত জানাবেন। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ বা মার্চের প্রথম সপ্তাহে এ নিয়ে পার্লামেন্টারি বিতর্কের কথা রয়েছে।