স্টেরয়েড নিয়েছিল লন্ডন ব্রিজে হামলাকারীরা

লন্ডন ব্রিজে হামলার আগে উচ্চ মাত্রার স্টেরয়েড নিয়েছিল হামলাকারীরা। শুক্রবার যুক্তরাজ্যের একটি  আদালত এ তথ্য জানিয়েছে। ২০১৭ সালের জুনে পথচারীদের ওপর চালানো ওই হামলায় নিহত হয়েছিলেন আটজন।

nonameওই হামলার ঘটনায় তিনজনকে হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তারা হচ্ছে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত খুররম শাজাদ বাট, মরোক্কান বংশোদ্ভূত রাশিদ রিদওয়ান এবং মরোক্কান বংশোদ্ভূত ইউসেফ জাঘবা। আদালত বলছে, হামলার আগে তারা তিনজনই স্টেরয়েড নিয়েছিল।

মেডিক্যাল রিপোর্টে বলা হয়েছে, হামলাকারীদের শরীরে উচ্চ মাত্রায় ডিএইচইএ নামের একটি উপাদান পাওয়া গেছে। লন্ডনের ওল্ড বেইলি কোর্টের শুনানিতে ওই মেডিক্যাল রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়।

২০১৭ সালের ৩ জুনের ওই হামলার ঘটনায় হামলাকারীদের গুলি করে হত্যা করেন যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা। পরে ওই হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস।

যুক্তরাজ্যে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ন্যাচারাল সাপ্লিমেন্ট বা প্রাকৃতিক সম্পূরক হিসেবে ডিএইচইএ কিনতে পাওয়া যায়। সাধারণভাবে মনে করা হয়, এটি শরীরের পেশী গঠনে সাহায্য করে।

আইনগত অনুসন্ধান বিষয়ক কাউন্সেল জোনাথন হগ আদালতকে লিখিতভাবে জানান, হামলাকারীদের শরীরে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি স্টেরয়েড হরমোন ডিএইচইএ-র উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

গত বছরের ৩ জুন রাত ১০টার দিকে চালানো ওই হামলায় হামলাকারীরা লন্ডন ব্রিজে চলাচলকারী পথচারীদের ওপর একটি ভ্যান উঠিয়ে দেয়। এরপর তারা বরা মার্কেটে গিয়ে লোকজনকে এলোপাতাড়ি ছুরি মারতে থাকে।

পুলিশ জানিয়েছে, তিনজন হামলাকারীর হাতে ছিল এক ফুট লম্বা গোলাপী রঙের ছুরি। ভ্যানে রাখা ছিল পেট্রোল বোমা। ওই ঘটনায় কিছু সময়ের জন্য লন্ডন ব্রিজ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড বলছে, লন্ডন ব্রিজের হামলাকারীরা পূর্ব লন্ডনের বার্কিং এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করেছিল, যাতে তারা গোপনে ও নিরাপদে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাতে পারে। ওই ফ্ল্যাটে পেট্রোল বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি, প্লাস্টিকের বোতল, টেপ এবং এক হামলাকারীর একটি পরিচয়পত্র পাওয়া যায়।