জম্মুতে ভারতের সেনাক্যাম্পে হামলায় নিহত ৫

ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মিরের সুঞ্জওয়ান সেনাক্যাম্পে হামলায় পাঁচ সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। লড়াইয়ের মাঝে পড়ে নিহত হয়েছেন এক সেনাসদস্যের বাবা। ওই সেনাসদস্যও নিহত হয়েছেন। এছাড়া চার হামলাকারীও নিহত হয়েছে। শনিবার ভোরে ভারতের ৩৬ ব্রিগেডের সেনাক্যাম্পে এ হামলা চালানো হয়। প্রায় ৩০ ঘণ্টার অভিযানে রবিবার সকালে ক্যাম্পটি মুক্ত করে ভারতীয় বাহিনী।

nonameরবিবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। ২০০৩ সালে জম্মুর সেনা এই ঘাঁটিতে হামলায় ১২ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিলেন।

হামলাকারীরা কিভাবে সেনাক্যাম্পে প্রবেশ করেছে তা এখনও নিশ্চিত নয়। ধারণা করা হচ্ছে, শিবিরের পাশের নালা দিয়ে এসে পেছনের দিকের তার কেটে ঘাঁটিতে প্রবেশ করে হামলাকারীরা। ঘটনাস্থলের ৫০০ মিটারের মধ্যেই রয়েছে ওই সেনাক্যাম্পের স্কুল।

জম্মু পুলিশের মহাপরিদর্শক এসডি সিং জামাল বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, শনিবার ভোর চারটা ৫৫ মিনিটের দিকে হামলাকারীদের উপস্থিতি টের পাওয়ার পর তল্লাশি চৌকির সেনাসদস্যরা গুলিবর্ষণ শুরু করে। পরে তারা সেনাদের পরিবার ঘাঁটির যে অংশে থাকে সে অংশে গা ঢাকা দেয়। ফলে সেনাক্যাম্প মুক্ত করতে তল্লাশি অভিযান চালায় ভারতীয় বাহিনী। রবিবার সকাল পর্যন্ত  দফায় দফায় চলে গুলির লড়াই। শেষ পর্যন্ত সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুঞ্জওয়ান সেনাক্যাম্পকে জঙ্গিমুক্ত বলে ঘোষণা করে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

জম্মু-কাশ্মীরের উপমুখ্যমন্ত্রী নির্মল সিং বলেন, ভারতের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ করার সাহস নেই পাকিস্তানের। কাপুরুষের মতো সাধারণ মানুষকে নিশানা করছে তারা।

দিল্লিতে ভারতের পার্লামেন্ট ভবনে ২০০১ সালের হামলায় সংশ্লিষ্টতার দায়ে ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তিহার জেলে ফাঁসি কার্যকর করা হয় আফজাল গুরুর। ভারতের প্রখ্যাত লেখক অরুন্ধতী রায়সহ বহু মানবাধিকারকর্মী তার বিচারে গুরুতর ত্রুটির কথা তুলে ধরে প্রহসনের বিচারে তাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। আফজাল গুরুর মৃত্যুবার্ষিকীর পরদিনই এ হামলা চালানো হলো। সূত্র: আনন্দবাজার, দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া, কলকাতা ২৪।