অক্সফামকর্মীদের যৌন কেলেঙ্কারি, দায় স্বীকার করে উপ-প্রধানের পদত্যাগ

পেনি লরেন্সকর্মীদের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন কেলেঙ্কারিরর অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা অক্সফামের উপ-প্রধান পেনি লরেন্স পদত্যাগ করেছেন। হাইতি ও শাদে নিয়োজিত অক্সফামের কর্মীরা অসহায় নারীদের যৌন কাজে বাধ্য করেছিলেন বলে সংস্থাটি স্বীকার করে নেওয়ার পর পদত্যাগ করলেন লরেন্স। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতি তিনি জানিয়েছেন, অক্সফামের কর্মীদের এ ধরনের আচরণে তিনি ‘লজ্জিত’। অক্সফামের পক্ষ থেকে এ ঘটনার পূর্ণ দায়ও স্বীকার করেছেন তিনি।
বিবৃতি লরেন্স বলেন, ‘গত কয়েকদিনে আমরা এ বিষয়টি বুঝতে পারছি, শাদ ও হাইতিতে আমাদের কর্মীরা যে আচরণ করেছে, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। অক্সফামকর্মীদের ওই আচরণে যে ক্ষতি ও দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে, তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি। অক্সফামের সমর্থকসহ বিস্তৃত উন্নয়ন খাত এবং বিশেষত, ওইসব অসহায় মানুষ যারা আমাদের ওপর আস্থা রেখেছিলেন, তাদের কাছে আমি দুঃখপ্রকাশ করছি।’
এর আগে, অভিযোগ পাওয়া যায়, শাদে অক্সফামের কর্মীরা অর্থের বিনিময়ে নারীদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতেন। ২০১০ সালে হাইতিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর অক্সফাম যখন ত্রাণ সরবরাহের কাজে গিয়েছিল, সেখানেও অক্সফামের কর্মীরা একই কাজ করেছিলেন।
অক্সফামের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এসব ঘটনা জানাজানির পর ২০১১ সালে এক অভ্যন্তরীণ তদন্ত করে সংস্থাটি। তদন্তের পর যৌন কেলেঙ্কারি, পর্ন ভিডিও ডাউনলোড, বাজে ভাষা ব্যবহার ও হুমকি দেওয়ার কারণ দেখিয়ে মাত্র চার কর্মীকে বরখাস্ত করে অক্সফাম, আরও তিনজনকে চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
এরমধ্যে, অক্সফামের ওই অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে গত শুক্রবার টাইমসে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, ওই সময় হাইতিতে অক্সফামের দায়িত্বে থাকা রোল্যান্ড ভ্যান হুওয়ারমেরিনকে চাকরি ছাড়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। যদিও তার বিরুদ্ধে অক্সফামের কার্যালয়েই অর্থের বিনিময়ে যৌন কাজ করার তথ্য জানা গিয়েছিল।
পেনি লরেন্স বলছেন, ২০০৬ সালে শাদে অক্সফামের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন ভ্যান হুওয়ারমেরিন। হাইতিতে দায়িত্ব পাওয়ার আগে সেখানেও (শাদ) তার বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল।
লরেন্স বলেন, ‘এটা এখন স্পষ্ট যে হাইতিতে নিয়োগ পাওয়ার আগেই শাদে অক্সফামের পরিচালক ও তার অধীন টিমের বিরুদ্ধে যৌনকর্মীদের ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল।’