সিরিয়ায় ইসরায়েলের জন্য ‘আরও চমক’ আছে, হুঁশিয়ারি দামেস্কের

সিরীয় ভূখণ্ডে আবারও হামলা করলে ‘আরও চমকের’ মুখোমুখি হতে হবে বলে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে দামেস্ক। সিরিয়ায় একটি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা নিয়ে দুই পক্ষের উত্তেজনা চলার মধ্যেই মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হলো।

ইসরায়েলের সিরীয় সীমান্তে একটি সামরিক যান
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়,ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে সিরিয়া থেকে ওড়ানো একটি ইরানি ড্রোন সফলভাবে ভূপাতিত করেছে সমন্বিত ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অল্প সময়ের মধ্যেই ড্রোনটি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। শনাক্ত করার পর থেকেই এটি নজরদারিতে ছিল বলে দাবি করা হয় ও বিবৃতিতে। ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করার পাশাপাশি সিরিয়ায় ইরানি স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হামলা চালায়। পরে সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়,তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেশের উত্তরাঞ্চলে একটি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। ১৯৮২ সালে লেবাননের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পর এই প্রথম ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হলো।

মঙ্গলবার সিরিয়ার সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সুসান ইসরায়েলকে আবারও এ ধরনের হামলা চালানোর পরিণতির ব্যাপারে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, ‘আগ্রাসনকারীকে যে মহা বিস্ময়ে পড়তে হবে সে ব্যাপারে পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা ভাবছে কয়েক বছর ধরে সিরিয়া যে ধরনের যুদ্ধাবস্থার মধ্যে আছে তাতে দেশটির হামলা মোকাবিলার সক্ষমতা হারিয়ে গেছে। কিন্তু যখনই তারা সিরিয়ায় হামলা করবে তখনই তাদেরকে আরও চমক দেখানো হবে।’

উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আধিপত্যের রাজনীতিতে ইসরায়েল আর ইরানের অবস্থান পরস্পরের বিপরীতে। সৌদি-ইসরায়েল মৈত্রী মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নীতির অনুসারী। বিপরীতে ইরানের অবস্থান মার্কিন আধিপত্যের বিপরীতে। সিরিয়ায় মার্কিন আধিপত্যের বিরোধী হওয়ার কারণেই ইরান সিরীয় যুদ্ধে আসাদ সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ইসরায়েল সবসময়ই তাদের ওপর ইরানি হামলার আশঙ্কার কথা প্রচার করে আসছে। গত বছরের ডিসেম্বরে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত যেকোনও সময় ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর হুমকি দেন।