বাংলাদেশে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ পাওয়ার দাবি ভারতীয় এনটিপিসি'র

বাংলাদেশে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য সবচেয়ে কম দরের দরপত্র দাখিল করে নির্বাচিত হয়েছে ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এনটিপিসির অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এনভিভিএন। ‘বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের’ (বিপিডিবি) আহ্বান করা টেন্ডারে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছে তারা। কোম্পানিটির বিবৃতির বরাত দিয়ে এখবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

এনটিপিসি

খবরে বলা হয়েছে, ইউনিট-প্রতি ৩.৪২ রুপি (৪.৪৫ টাকা) দরে ১৫ বছর পর্যন্ত ৩০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে তারা। প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে, বাংলাদেশে বছরে ৯০০ কোটি রুপির (১ রুপি=১.৩০ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য ১,১৭০ কোটি টাকা) বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। 
এনভিভিএন স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি দুই ক্ষেত্রেই ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচিত হয়েছে বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে। পিটিআই জানিয়েছে, প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের যে দর জানা যাচ্ছে তা প্রাক্কলিত দর, এখনও তা চূড়ান্ত নয়।

ফেব্রুয়ারির ১১ তারিখে প্রতিষ্ঠানটির সর্বনিম্ন দরদাতা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত  হওয়া গেলেও এটা জানা যায়নি যে সর্বনিম্ন দরদাতা (এল১) হতে প্রতিষ্ঠানটি কত টাকা দর প্রস্তাব করেছিল। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার ক্ষেত্রে তাদের গড় দর ৪.২৪ টাকা প্রতি ইউনিট। এনটিপিসি বলেছে, ২০১৮ সালের জুন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হতে পারে। এর আগে ৫০০ মেগাওয়াটের বাংলাদেশ-ভারত সঞ্চালন লাইনের প্রকল্প শেষ করা লাগবে। বর্তমানে ভারত প্রায় ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রফতানি করে বাংলাদেশে।

উল্লেখ্য, বিপিডিবি স্বল্পমেয়াদে (জুন, ২০১৮ থেকে ডিসেম্বর, ২০১৯) এবং দীর্ঘমেয়াদে (জানুয়ারি, ২০২০ থেকে মে ২০৩৩) ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য দরপত্র আহ্বান করেছিল। এনভিভিএন, আদানি গ্রুপ, পিটিসি এবং সিঙ্গাপুরভিত্তিক সেম্বকপ দরপত্র দাখিল করেছিল।