ইরাক পুনর্গঠনে ২০০ কোটি ডলার সহায়তা ঘোষণা কুয়েতের

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাক পুনর্গঠনে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কুয়েত। দেশটির আমির জানান, তারা ইরাককে ১০০ কোটি ডলার ঋণ দেবে আর উন্নয়নে বিনিয়োগ করবে আরও ১০০ কোটি ডলার। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

download

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো ইরাককে পুনর্গঠনে সহায়তা করবে কুয়েতও। আমির শেখ সাবাহ আল আহমাদ আল জাবের আল সাবাহ বলেন, কুয়েত মোট ২০০ কোটি ডলার সহায়তা করবে। এরমধ্যে ১০০ কোটি ডলার থাকবে ঋণ হিসেবে আর ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের অংশ।

জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে তিন বছরের লড়াই শেষে ইরাক পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করেছে দেশটির সরকার।ইরাকের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ পুনর্গঠন কাজে প্রয়োজন হবে ৮ হাজার ৮০০ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ। সোমবার কুয়েতে আন্তর্জাতিক এক সম্মেলনে পুনর্গঠন পরিকল্পনা তুলে ধরে এই তহবিলের প্রয়োজনীয় জানায় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি।

এরপর তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে থাকে অনেক দেশ। কুয়েতের ঘোষণার কয়েক মিনিট পরই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে সহায়তার ঘোষণা আসে। ইইউর পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ফেডরিকা মোগেরিনি বলেন, তারা ৪০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে।  

এর আগে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিল তারা ৩০০ কোটি ডলার ক্রেডিট লাইন বাড়াচ্ছে। তবে সরাসরি সরকারি সহায়তার কোনও ঘোষণা দেয়নি। এছাড়া আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো মানবিক সহায়তায় ৩৩ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।   

বুধবার ইরাক পুনগর্ঠনে সামাজিক ক্ষেত্র দ্রুত চিহ্নিতকরণে দুই বছরের প্রকল্প শুরু করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্থনিও গুয়েতেরেস বলেন, ‘এটা সহিংসতায় আশঙ্কায় থাকা এলাকাগুলো চিহ্নিত করতে সক্ষম হবে। যারা সবেছেয় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তাদের সহায়তা করা যাবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।’

কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখা মোহাম্মাদ বিন আবদুল রহমান আল থানি রয়টার্সকে বলেন, তারা ইরাকের পুনর্গঠনে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নেই বেশি জোর দেবে তারা।

গত ১৫ বছর ধরে সহিংসতা চলছে ইরাকে। সাবেক প্রেসিডন্ট সাদ্দাম হুসেনকে উৎখাতের পর শিয়া-সুন্নির সংঘর্ষ দেখেছে দেশটি। কুর্দি বাহিনীও ছিল সশস্ত্র লড়াই শুরু করে। এরপর ২০১৪ সালে আইএস বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে তাণ্ডব শুরু করে।  গত ডিসেম্বরে তিন বছরের যুদ্ধের পর দখলকৃত অঞ্চল থেকে আইএসকে উৎখাত করে জয় ঘোষণা করে ইরাক। দেশটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অঞ্চল এই জঙ্গির গোষ্ঠীর দখলে ছিল।