এবার প্লেবয় মডেলের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের তথ্য ফাঁস!





এক পর্নো তারকার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্কের তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর এবার প্রাপ্তবয়স্কদের ম্যাগাজিন প্লেবয়ের এক মডেলের সঙ্গেও তার সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্কার শুক্রবার ওই মডেলের হাতে লেখা নোটের বরাতে এই তথ্য সামনে এনেছে। সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়েছে, এই সম্পর্কের গল্পের সত্ত্ব কেনার কথা বলে ওই মডেলকে দ্য ন্যাশনাল ইনকোয়ারার দেড় লাখ ডলার পরিশোধ করেছিল। যদিও কোনওদিনও ওই গল্প আর প্রকাশ করা হয়নি।

ট্রাম্প ও ম্যাকডোগাল
ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা ওই মডেলের নাম কারেন ম্যাকডোগাল। ১৯৯৮ সালে তিনি প্লেবয় ম্যাগাজিনের প্লেমেট অব দি ইয়ার নির্বাচিত হয়েছিলেন। দ্য নিউ ইয়র্কার জানিয়েছে, হাতে লেখা ওই নোটের লেখা নিজের বলে নিশ্চিত করেছেন ম্যাকডোগাল।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, পর্নো তারকা স্টিফেন ক্লিফোর্ড ও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরনের অভিযোগ আনা অন্য এক নারীর বর্ননার সঙ্গে ম্যাকডোগালের বর্ননার মিল রয়েছে। এসব নারীদের ডিনারের আমন্ত্রণ এবং রিয়েল এস্টেট কিনে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন আবাসন ব্যবসা থেকে রাজনীতিতে আসা ট্রাম্প।
দ্য নিউ ইয়র্কার জানিয়েছে, আমেরিকান মিডিয়া ইনকর্পোরেশন প্রকাশিত দ্য নাশনাল ইনকোয়ার ট্রাম্প ম্যাকডোগালকে ২০১৬ সালে দেড় লাখ ডলার দিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্কের তথ্যের সত্ত্ব কিনে নেয়। ট্রাম্প রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার পরকোনওদিনও ওই তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। দ্য নিউ ইয়র্কার জানিয়েছে, আমেরিকান মিডিয়া’র প্রধান ডেভিড পেকার ট্রাম্পকে নিজের ব্যক্তিগত বন্ধু বলে বর্নণা করেছেন। সংবাদমাধ্যমটির দাবি নাশনাল ইনকোয়ারের সত্ত্বের কারনে ম্যাকডোগাল ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি।

ম্যাকডোগালের হাতে লেখা সেই নোট
রয়টার্সের কাছ পাঠানো এক বিবৃতিতে আমেরিকান মিডিয়া বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওপরে কোনও প্রভাব থাকার তথ্য হাস্যকর। আর নিউ ইয়র্কারকে মিডিয়া প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ম্যাকডোগালের গল্পের ভিত্তি না পাওয়ায় তারা তা প্রকাশ করেননি।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মেলানিয়া ট্রাম্প তাদের ছোট সন্তান ব্যরনকে জন্ম দেওয়ার তিনমাসের মধ্যেই ম্যাকডোগাল এবং ক্লিফোর্ডের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। এই বিষয়ে রয়টার্সের কাছে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। আর নিই ইয়র্কারের কাছে হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র খবরটিকে আরও একটি ভুয়া খবর বলে অভিহিত করেছেন।