রুশ সংযোগের তদন্ত, এফবিআই’র সমালোচনায় ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প শিবিরের সঙ্গে রাশিয়ার যোগসাজশ নিয়ে এফবিআই-এর তদন্তের সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রবিবার টুইটারে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে, ফ্লোরিডার স্কুলে বন্দুক হামলাকারী সম্পর্কে এফবিআই অনেক সতর্কতা মিস করেছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। তারা ট্রাম্পের প্রচারাভিযানের সঙ্গে রাশিয়ার যোগসাজশ প্রমাণের জন্য অনেক সময় ব্যয় করছে – এখানে কোনও যোগসাজশ নেই। প্রাথমিক স্তরে ফিরে আসুন এবং আমাদের সবাইকে গর্বিত করুন।’

ডোনাল্ড ট্রাম্পট্রাম্প বলেন, জেনারেল ম্যাক মাস্টার এটা বলতে ভুলে গেছেন যে, রাশিয়ানদের মাধ্যমে ২০১৬ সালের নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত বা পরিবর্তিত হয়নি। যোগসাজশ ছিল শুধু রাশিয়া এবং কুটিল হিলারি, ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কংগ্রস ও ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে। নোংরা দলিল, ইউরেনিয়াম, ভাষণ, ইমেইল এবং পডেস্টা’র (হিলারি'র প্রচারণা প্রধান জন পডেস্টা; যার বার্তা ফাঁস করে উইকিলিকস) কথা স্মরণে রাখুন।’

২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ছিল বলে দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। অভিযোগ ওঠে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ক্ষতি করার এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাবমূর্তি বড় করার চেষ্টা করে রাশিয়া। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইল হ্যাক করে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে এফবিআই’র সাবেক পরিচালক রবার্ট মুলারের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়।  দীর্ঘদিন তদন্তের পর ওই ঘটনায় ১৩ রুশ নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবরই এসব অভিযোগকে কখনও ‘ভুয়া খবর’, কখনও ‘ধাপ্পাবাজি’ বা কখনও ‘ডাইনি খোঁজা’ বলে মন্তব্য করে এসেছেন। রবার্ট মুলারের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি ১৩ রুশ নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর প্রাথমিকভাবে ট্রাম্প বলেন, রাশিয়া হস্তক্ষেপ করলেও তা নির্বাচনে প্রভাব ফেলেনি।

১৭ ফেব্রুয়ারি এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেওয়ার অনেক আগে, ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তবে নির্বাচনের ফলাফলে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। টিম ট্রাম্প কোনও অন্যায় করেনি। কোনও আঁতাত করেনি!’

এই টুইটের একদিনের মাথায় রবিবার নতুন টুইটে ওই তদন্তে বাড়তি সময় দেওয়ার জন্য এফবিআই-এর সমালোচনা করেন ট্রাম্প। সূত্র: দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, টুইটার।