নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন ঘনিষ্ঠ সহযোগী ফিলবার!

দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে সাক্ষ্য দিতে রাজি হয়েছেন তারই ঘনিষ্ঠ সহযোগী শ্লোমো ফিলবার। সরকার ও বেজেক টেলিকম কোম্পানির মধ্যে অবৈধ চুক্তি সংক্রান্ত মামলায় সাক্ষ্য দেবেন তিনি। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবরটি জানিয়েছে

ফিলবার
ঘুষ, জালিয়াতি এবং আস্থা ভঙ্গের অভিযোগ তদন্তের পর সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করার সুপারিশ করে দেশটির পুলিশ। তার বিরুদ্ধে একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর কাছ থেকে উপহার নেওয়া এবং একটি সংবাদমাধ্যমের মালিককে সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী শ্লোমো ফিলবার এবং বাজেক টেলিকমের শীর্ষ নির্বাহীদেরকে এ সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয়। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক হিসেবে ফিলবারকে ব্যক্তিগতভাবে মনোনয়ন দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। নেতানিয়াহু যে সংবাদ প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করানোর চেষ্টা করেছিলেন সেটি বেজেকের সাবেক চেয়ারম্যানের মালিকানাধীন।

বুধবার ইসরায়েলের ওয়াইনেট নিউজের ওয়েবসাইটে বলা হয়, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে সাক্ষ্য দিতে রাজি হয়েছেন তার সহযোগী ফিলবার। এতে দুর্নীতির কেলেঙ্কারি নিয়ে নেতানিয়াহু আরও জটিলতায় পড়বেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। রয়টার্স জানিয়েছে ফিলবারের সঙ্গে সমঝোতার খবরটি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নেতানিয়াহু
কয়েক মাস ধরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুটি দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছিল সে দেশের পুলিশ। ১৩ ফেব্রুয়ারি নেতানিয়াহুকে অভিযুক্ত করার সুপারিশ করা হয়। কেস ১০০০ নামের প্রথম তদন্তে বলা হয়, নেতানিয়াহু রাজনৈতিক সুবিধা প্রদানের বিনিময়ে ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উপহার নিয়েছিলেন। পুলিশকে উদ্ধৃত করে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানায়, ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার মূল্যের উপহার সামগ্রী গ্রহণ করেছেন নেতানিয়াহু। কেস ২০০০ নামে দ্বিতীয় তদন্তে বলা হয়, তেল আবিবের একটি পত্রিকার প্রকাশক আরনোন মোজেসকে ঘুষ দিয়ে ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশের চেষ্টা করেছেন তিনি। ইসরায়েলি সংবাদপত্র ইয়েদিয়থ আহরনোথে নিজের পক্ষে ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশের জন্য একটি চুক্তি করার চেষ্টা করেছিলেন নেতানিয়াহু। এর বিনিময়ে সংবাদপত্রটির প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষ ইসরায়েল হায়োমকে কোণঠাসা করতে সহায়তা করবেন বলে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। 

ইসরায়েল পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষ, জালিয়াতি ও আস্থা ভঙ্গের অভিযোগগুলোর পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ আছে।’

তবে শুরু থেকেই নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।