ট্রাম্পকে মানবাধিকার হরণকারী আখ্যা অ্যামনেস্টির

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মানবাধিকারের জন্য হুমকি আখ্যা দিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তিনি ‘বিদ্বেষমূলক’ রাজনীতি করেন বলে নিজেদের বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে  ব্রিটিশ ওই মানবাধিকার সংস্থা। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সংস্থাটির ২০১৬-২০১৭ সালের প্রতিবেদন বলছে, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পদক্ষেপে দেশে ও দেশের বাইরে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়।’

180217093516-03-donald-trump-0216-exlarge-169ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিসর, রাশিয়া, চীন, ফিলিপাইন ও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্পকে এক তালিকায় রেখেছে অ্যামনেস্টি। প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটন থেকে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি। সংস্থাটির প্রধান সালিল শেটি বলেন, ‘বিশ্ব রাজনীতিতে এখন প্রচুর বিদ্বেষ। খুব অল্পসংখ্যক সরকারই মানবাধিকারের পক্ষে লড়াই করে।’ তিনি আরও বলেন, আব্দুল ফাত্তাহ আল-সিসি, রদ্রিগো দুয়ের্তে, নিকোলাস মাদুরো, ভ্লাদিমির পুতিন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও শি জিনপিং লাখ লাখ মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।  

দায়িত্ব নেওয়ার জারি করা ট্রাম্পের মুসলিম নিষেধাজ্ঞাকেও ‘স্পষ্টত একটি বিদ্বেষমূলক পদক্ষেপ’ বলে আখ্যা দিয়েছে অ্যামনেস্টি। ওই নিষেধাজ্ঞায় মুসলিম প্রধান সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধ করা হয়েছিল। শেঠি বলেন, ‘বিদ্বেষের চরম ‍উদাহরণ ছিল সেই পদক্ষেপ।  

_100132415_trump_coposite

৪০০ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদেনটি বিশ্বের ১৫৯টি দেশের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়। ট্রাম্পের বিষয়টি ছাড়াও প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা ইস্যু উঠে আসে। মিয়ানমারের সংকট এবং রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞকে সমাজে বাড়তে থাকা বিদ্বেষের ফলাফল আখ্যা দিয়েছে তারা। এছাড়া ভুয়া সংবাদ দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিষয়টিও ঠাঁই পায় প্রতিবেদনে। মানবাধিকার ইস্যুতে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্বনেতাদের সমালোচনাও করা হয় প্রতিবেদনে।

শোষণের শিকার মানুষদের আন্দোলনের বিষয়টিও তুলে আনে অ্যামনেস্টি। শেঠি বলেন, ‘ট্রাম্পের নীতির কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নতুন যুগে প্রবেশ করেছি আমরা।’ সামনের বছরগুলোতে প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করার জন্য বিশ্বনেতাদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।