সিরিয়ায় হত্যাযজ্ঞ থামাতে ইইউ’কে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান ম্যার্কেলের

সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় ঘৌটা জেলায় আসাদ বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ থামাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-কে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠকের প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার জার্মান পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।

আঙ্গেলা ম্যার্কেলআঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেন, একটি সরকার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নয়, বরং নিজ দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। তারা শিশুদের হত্যা করছে। হাসপাতালগুলো ধ্বংস করে দিচ্ছে। এ ধরনের হত্যাযজ্ঞের নিন্দা জানানো উচিত।

জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, সিরিয়া সংকটের সমাধানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জোরালো ভূমিকা রাখা উচিত। এ ধরনের হত্যাযজ্ঞ বন্ধে সংস্থাটির প্রচেষ্টা আরও বাড়ানো উচিত। ইউরোপীয়ান হিসেবে অবশ্যই এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে হবে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় আরও হত্যাযজ্ঞ বন্ধে আসাদ সরকারের পৃষ্ঠপোষক রাশিয়া ও ইরানের প্রতি আহ্বান জানান জার্মান চ্যান্সেলর।

এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সিরিয়ার বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ঘৌটা জেলাকে ‘দুনিয়ার জাহান্নাম’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যকার যুদ্ধে ইস্টার্ন ঘৌটা ধৈর্যহারা হয়ে পড়েছে।’

ইস্টার্ন ঘৌটায় প্রায় চার লাখ মানুষের বসবাস। ২০১৩ সাল থেকে এলাকাটি বিদ্রোহীদের দখলে রয়েছে। রাজধানী দামেস্কের কাছে অবস্থিত এটিই সর্বশেষ এলাকা, যেটি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকাটির পুনর্দখল নিতে এ মাসের গোড়ার দিকে অভিযান জোরদার করে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। ব্যাপক প্রাণহানির পর এক পর্যায়ে বেসামরিক নাগরিকদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে এক বিরল অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয় দুই পক্ষ। কিন্তু গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আবারও সেখানে হামলা শুরু করে আসাদ বাহিনী। হামলা শুরুর দুই দিনের মাথায় নিহতের সংখ্যা ২৫০-তে পৌঁছেছে।

নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া ভাষণে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘এটা মানব জাতির জন্য এক বিয়োগান্তক ঘটনা, যা আমাদের চোখের সামনেই ঘটছে। এমন ভয়াবহ উপায়ে অঞ্চলটিতে এমন ঘটনা ঘটতে দেওয়া যায় না।’