যুক্তরাজ্য ছাড়ছেন ইউরোপীয় দেশগুলোর নাগরিকরা!

অধিক সংখ্যায় যুক্তরাজ্য ছাড়ছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকরা। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক বছরে আঞ্চলিক এ সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোর ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ যুক্তরাজ্য ছেড়ে গেছেন। ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সরকারের জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন চিত্র। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

nonameযুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অঞ্চলটির নাগরিকরাও দেশটি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। তবে ইউরোপীয় অভিবাসীর সংখ্যা কমলেও বেড়েছে ইইউ-এর সদস্য নয়-এমন দেশগুলোর অভিবাসী সংখ্যা। অবশ্য সব মিলিয়ে মোট অভিবাসীর সংখ্যা কমেছে। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক বছরে দেশটিতে মোট অভিবাসীর সংখ্যা ২৯ হাজার কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার। অর্থাৎ একই সময়ে যত সংখ্যক মানুষ যুক্তরাজ্য ত্যাগ করেছেন তার চেয়ে ২৯ হাজার কম মানুষ দেশটিতে পাড়ি জমিয়েছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকরা অধিক সংখ্যায় যুক্তরাজ্য ছাড়লেও দেশটির অভিবাসন নীতি নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ইউরোপের বাইরের দেশগুলো থেকে দেশটিতে পাড়ি দেওয়া ব্যক্তিদেরও।

জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের এ প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন আগে বুধবার ব্রিটিশ সরকারের ‘অন্যায্য’ অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন দেশটিতে বসবাসরত একদল ‘নন ইউরোপিয়ান’ পেশাজীবী। লন্ডনে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে তারা এ বিক্ষোভে যোগ দেন। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ব্রিটিশ সরকারের অভিবাসন নীতি দেশটিতে তাদের ‘রেসিডেন্সি স্ট্যাটাস’কে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলোর যেসব ব্যাপক দক্ষ জনশক্তি যুক্তরাজ্যে কর্মরত রয়েছেন, মূলত তারাই বুধবারের এ বিক্ষোভে অংশ নেন। যুক্তরাজ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকার অনুমতি (আইএলআর) সংক্রান্ত আবেদন নিয়ে হোম অফিসের দেরি এবং ‘অন্যায্যভাবে’ এ সংক্রান্ত আবেদন প্রত্যাখ্যানের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে জড়ো হন ইইউ-বহির্ভূত প্রবাসী পেশাজীবীরা।

যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ইইউ- বহির্ভূত কয়েক হাজার পেশাজীবীর একজন এই বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। কয়েক বছর আগে টিয়ার ওয়ান (জেনারেল) ভিসায় দেশটিতে পাড়ি দেন তিনি। ন্যূনতম পাঁচ বছর যুক্তরাজ্যে আইনসম্মতভাবে বসবাসের পর তিনি দেশটিতে আইএলআর বা স্থায়ী বাসস্থানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২০১০ সালে ভিসা ক্যাটাগরি বন্ধ হয়ে গেলেও আগে আবেদনকারীরা এই বছরের এপ্রিল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন; যদি তারা আবশ্যিক শর্ত পূরণ করে থাকেন।