জেরুজালেমে ‍মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর মে মাসে

ইসরায়েলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস আগামী মে মাসেই তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। আগামী ১৪ মে ইসরায়েলের ৭০তম স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে এই স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স। 

টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে এ সিদ্ধান্তের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছে ইসরায়েলের গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ।

বার্তা সংস্থা এপি’র খবরে বলা হয়েছে, জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস তৈরির খরচ যোগান দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের আলোচিত ক্যাসিনো ব্যবসায়ী শেলডন অ্যাডেলসন। এর আগে এই ব্যবসায়ী নিজ থেকেই মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়ার খরচ বহনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এখন ট্রাম্প প্রশাসন দূতাবাস নির্মাণের ব্যয় আংশিক হলেও তার অনুদান থেকে খরচের বিষয়টি বিবেচনা করছে।

শেলডন অ্যাডেলসন ট্রাম্পের নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির বড় মাপের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকদের একজন।

যুক্তরাষ্ট্রের চারজন কর্মকর্তা এপি’কে নিশ্চিত করেছেন, স্টেট ডিপার্টমেন্টের আইনজীবীরা ব্যক্তিগত অনুদানের অর্থে দূতাবাস নির্মাণের ব্যয় নির্বাহ করার আইনগত দিক খতিয়ে দেখছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন দূতাবাস স্থাপনে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার বেশিরভাগই নিরসন হয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রেক্স টিলারসন দূতাবাস স্থানান্তর সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেন যা তার স্বাক্ষরের অভাবে সপ্তাহখানেক আটকে ছিল।

অনুদান দিতে আগ্রহী অ্যাডেলসন লাস ভেগাসের একজন বড় ক্যাসিনো ব্যবসায়ী। তার মালিকানাধীন ‘লাস ভেগাস স্যান্ডসই’ যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ক্যাসিনো। ফোর্বসে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গেছে, তার সম্পদের পরিমাণ তিন লাখ ২৮ হাজার কোটি ডলার। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানের জন্য ৪১ দশমিক ৫ কোটি ডলার অনুদান দিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এ ধরনের অনুদান এটিই সর্বোচ্চ।

ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক অ্যাডেলসনের একার কাছ থেকেই অনুদান নেওয়া হবে, নাকি আরও অনেকের কাছ থেকে অনুদান আহ্বান করা হবে সে বিষয়টিও ট্রাম্প প্রশাসনের আলোচনাসূচিতে রয়েছে। জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরে সরকার যে অর্থ বরাদ্দ করবে আর আদতে যা খরচ হবে তার ব্যবধান পূরণ করে দেওয়ার প্রস্তাব অ্যাডেলসন নিজে থেকেই দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, বিদেশে দুর্নীতি করার অভিযোগে অ্যাডেলসনের প্রতিষ্ঠান ২০১৬ সালে ৭৫ কোটি ডলার জরিমানা দিতে বাধ্য হয়েছিল।