যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি আইএস সমর্থকের কারাদণ্ড

যুক্তরাজ্যে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের  হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রপাগান্ডা ছড়ানোর দায়ে এক বাংলাদেশিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। সোমবার কিংস্টন ক্রাউন কোর্ট এ রায় দেন। মোহাম্মদ কামাল হোসাইন নামের ওই ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থী ভিসায় যুক্তরাজ্য গিয়েছিলেন। ২০১৪ সাল থেকে তিনি দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছেন।

সোমবার কিংস্টন ক্রাউন কোর্টের বিচারক তাকে সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেয়; এমন দুইটি ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করেন। এছাড়া নিষিদ্ধ সংগঠনকে সমর্থনেও অভিযোগও আনা হয় তার বিরুদ্ধে।

২৮ বছরের মোহাম্মদ কামাল হোসাইন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম মেসেজিং সার্ভিস ব্যবহার করে আইএসের পক্ষে কয়েক হাজার বার্তা পোস্ট করেছেন।

২০১৭ সালের মার্চে যুক্তরাজ্যের বাইরে বসবাসকারী এক ব্যক্তি কামালের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দফতরকে ইমেইল করেন। এরপরই তাকে খুঁজে বের করে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে করা অভিযোগে ওই ব্যক্তি বলেন, জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসে যোগ দিতে একজন অপরিচিত ব্যক্তি তাকে ফেসবুকে ইনবক্স করেছে।

সুদূর বসনিয়া থেকে এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করায় ওই ব্যক্তির প্রশংসা করেন আদালত।

মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম কমান্ডের প্রধান ডিন হাইদুন বলেন, এই তদন্ত একটি প্রফুল্ল ব্যক্তি তার প্রবৃত্তি বিশ্বাস এবং কিছু সন্দেহজনক রিপোর্টিং সঙ্গে শুরু। কারও প্রতি একজন ব্যক্তির সন্দেহ থেকে এই তদন্তের সূত্রপাত।

কাউন্টার টেররিজম কমান্ডের প্রধান বলেন, ওই ব্যক্তি কামাল হোসাইনের মেসেজটি এড়িয়ে যেতে পারতেন। কিন্ত তা না করে তিনি এর স্ক্রিনশট রেখেছেন। দ্রুত ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এটা অনেক বড় একটা ব্যাপার। তাকে ধন্যবাদ। তার জন্যই পুলিশ হোসাইনকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে।

ওই ব্যক্তির অভিযোগ পাওয়ার পর মোহাম্মদ কামাল হোসাইনকে ট্র্যাক করতে শুরু করে যুক্তরাজ্যের কাউন্টার টেররিজম ইন্টারনাল রেফারেল ইউনিট। এই ইউনিট সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করতে বিশেষজ্ঞ সংস্থা হিসেবে কাজ করে।

ডিন হাইদুন বলেন, তার কাছে পাওয়া ডিভাইস থেকে এটা পরিষ্কার যে, সে আইএস সমর্থক। এসব ডিভাইসে আইএসের বর্বরোচিত সহিংসতার ভিডিও ছিল। শিশু ও মুসলিমদের হত্যার ভিডিও ছিল।

পুলিশের তদন্তের ভিত্তিতে গত জুনে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মোহাম্মদ কামাল হোসাইন ইস্ট লন্ডনের বাসিন্দা ছিল।