যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ায় ক্লাসরুমে গুলি, শিক্ষক গ্রেফতার

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার একটি স্কুলের ফাঁকা ক্লাসরুমের দরজা বন্ধ করে জানালা দিয়ে গুলি ছোড়ার পর এক শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জেসে রান্ডাল ডেভিডসন নামের ৫৩ বছর বয়সী ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। ফ্লোরিডার স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় এবং এ ধরনের হামলা ঠেকাতে স্কুল শিক্ষকদের কাছে অস্ত্র সরবরাহের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরামর্শ প্রদানের দুই সপ্তাহের মাথায় জর্জিয়ার ঘটনা সংঘটিত হলো।

ডেভিডসন
সম্প্রতি ফ্লোরিডার মেজরিটি ডগলাস হাইস্কুলে ঢুকে পড়ে সাবেক এক শিক্ষার্থীর নির্বিচারে চালানো গুলিতে নিহত হয় ১৭ জন। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানোর দাবিতে ওই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া শিক্ষার্থী ও স্বজনেরা হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি শিক্ষকদের অস্ত্র রাখার পক্ষে মত দেন। ফ্লোরিডার শিক্ষার্থীদের ট্রাম্প বলেন, যদি তোমাদের একজন অস্ত্রে পারদর্শী শিক্ষক থাকতো তাহলে এই আক্রমণ খুব তাড়াতাড়ি শেষ করে দেওয়া যেত।অবশ্য শক্তিশালী অস্ত্র সমর্থক গ্রুপ ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন অনেক আগে থেকেই এই মত দিয়ে আসছে। শিক্ষকদের কাছে অস্ত্র রাখার পক্ষে ট্রাম্পের পরামর্শের দুই সপ্তাহের মাথায় ফাঁকা ক্লাসে গুলি চালিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন জর্জিয়ার স্কুলের এক শিক্ষক।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ডাল্টন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জেসি রান্ডাল ডেভিডসন নিজেকে একটি ফাঁকা ক্লাসরুমে আটকে ফেলেন। এ সময় স্কুলের হলওয়েতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা শ্রেণীকক্ষে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। তাদেরকে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছিলেন না ডেভিডসন। এক পর্যায়ে স্কুলের অধ্যক্ষ স্টিভ বার্তু যখন কক্ষটির দরজা চাবি দিয়ে খোলার চেষ্টা করছিলেন তখন ডেভিডসন জানালা দিয়ে তার হ্যান্ডগান থেকে গুলি করেন। অবশ্য এ ঘটনায় কোনও শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। আধা ঘণ্টারও বেশি সময় পর আত্মসমর্পণ করতে রাজি হন ডেভিডসন। পুলিশ জানিয়েছে, ‘ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলে অস্ত্র বহন, সন্ত্রাসী হুমকি, বেপরোয়া আচরণ ও স্কুলে অস্ত্র চালনার অভিযোগ আনা হয়েছে।‘ 

তদন্ত কর্মকর্তারা বলেছেন গত ২১ ফেব্রুয়ারি স্কুলটিতে একটি হুমকির চিঠি পাওয়া গিয়েছিল। পরেরদিন স্কুলের একটি ভবনে হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল ওই চিঠিতে। তবে এর সঙ্গে বুধবারের ঘটনার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।