যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিন-পন্থি বিক্ষোভকারীদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে সরে না যাওয়ায়, সোমবার (২৯ এপ্রিল) তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে দুই সপ্তাহ আগে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে তা পুরো যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাঁবু বানিয়ে চলে বিক্ষোভ। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁবু সরিয়ে নিতে ও বিক্ষোভ বন্ধ করতে সোমবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। নির্দেশ না মানলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা উপেক্ষা করে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন। এরপর তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়।
অস্টিনে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে। ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভকারীদের তাঁবু সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু নির্দেশনা না মানায় তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্যাম্পাসে বেসবলের সমান পাথর পাওয়া গেছে। তাদের ধারণা, প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বেশিরভাগ বিক্ষোভকারীর সম্পৃক্ততা নেই।
এদিকে নিউ ইয়র্কের আপার ম্যানহাটন এলাকার অভিজাত আইভি লিগ বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারলে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পদত্যাগ করতে হবে।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেছেন, কলম্বিয়ায় যা ঘটছে, তা অপমানজনক। ইহুদিবিদ্বেষী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসটি দখল করে রেখেছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নেমাত শফিকের পদত্যাগ দাবি করেছেন তিনি।