বুরকিনা ফাসোতে জঙ্গি টার্গেটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও সেনা সদর

জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর রাজধানী উগাডুগু। একের পর এক আক্রান্ত হয়েছে সেনা সদর দফতর, ফরাসি দূতাবাসসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতাকেন্দ্র। জাতিসংঘ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কেও লক্ষ্যবস্তু বানানোর চেষ্টা করেছে জঙ্গিরা। নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে অন্তত ৬ হামলাকারীর মৃত্যুর খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। বিপরীতে সেনা সদর দফতরের হামলায় বেশ কয়েকজন সেনা সদস্যের প্রাণহানির কথা জানা গেছে। হামলায় কারা জড়িত তা এখনও জানা যায়নি। তবে সেখানে আল কায়েদার সক্রিয় উপস্থিতি রয়েছে।


বুরকিনা ফাসোতে জঙ্গি হামলা২০১৬ সালের পর থেকে প্রায়ই জঙ্গি হামলায় আক্রান্ত হয়ে আসছে বুরকিনা ফাসো। তবে এমন করে সব ক্ষমতাকেন্দ্রকে আক্রান্ত হতে দেখা যায়নি। এ কারণে এই হামলায় খুবই সন্ত্রস্ত বুরকিনা ফাসোর জনগণ। রাস্তায় আতঙ্কিত জনসাধারণ পালাতে চেষ্টা করছেন প্রাণপণে। সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস রাজধানীর সেনা সদর দফতর ও ফরাসি দূতাবাসসহ বেশ কয়েকটি স্থানে হামলার খবর দিয়েছে। এখন থেকে এক ঘণ্টা আগে প্রকাশিত প্রতিবেদনে হামলা চলমান থাকার কথা জানিয়েছে তারা। সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে তারা ৭ নিরাপত্তা কর্মী ও ৬ জঙ্গির মৃত্যুর খবর দিয়েছে।
নিরাপত্তা সূত্রকে উদ্ধৃত করে সিএনএন বলছে, সেনা সদরের হামলায় ৫ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। সেখানে দুই জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে। আর ফরাসি দূতাবাসের হামলায় নিহত হয়েছেন দুই নিরাপত্তারক্ষী। সেখানে চার জঙ্গিকে হত্যা করার খবর দিয়েছে সিএনএন। 
ন্যাশনাল পুলিশ সূত্রে কাতারভিত্তিক আল জাজিরা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও জাতিসংঘের এক অফিসকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর কথা জানিয়েছে। তবে ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, হামলায় সেখানে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে ন্যাশনাল পুলিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও জাতিসংঘ দফতরের আশপাশের এলাকা থেকে সবাইকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ফেসবুকে এক বার্তায় তারা এই সতর্কতা জারি করে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষায়িত ইউনিটে অভিযান চলছে।