শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থার অবসান চায় যুক্তরাষ্ট্র, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যাচ্ছে জাতিসংঘ

দ্রুত শ্রীলঙ্কার জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করতে সে দেশের সরকারকে তাগিদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার নিন্দা জানিয়ে মঙ্গলবার দেওয়া বিবৃতিতে এই অবস্থান জানিয়েছে তারা। এদিকে সেখানকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে শিগগিরই দেশটি সফর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘ প্রতিনিধিদল।
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মুখে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা

৫ মার্চ ২০১৮ সোমবার ক্যান্ডিতে নতুন করে মুসলিম মালিকানাধীন একটি দোকান জ্বালিয়ে দেয় সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলি বৌদ্ধরা। মূলত ওই অগ্নিসংযোগ থেকেই দাঙ্গার সূত্রপাত। দাঙ্গায় আহত এক বৌদ্ধের মৃত্যুর পাশাপাশি পুড়ে যাওয়া ভবন থেকে এক মুসলিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর সংঘাত চরম আকার ধারণ করে। সহিংসতা ঠেকাতে সোমবার রাতে ক্যান্ডিতে কারফিউ জারি করা হয়। মঙ্গলবার ক্রমবর্ধমান সহিংসতার আশঙ্কা জানিয়ে সারাদেশে ১০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে সরকার।

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার নিন্দা জানিয়ে মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিবৃতিতে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য মানবাধিকার ও আইনের শাসনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য আইনের শাসন, মানবাধিকার ও সমতা বিধান জরুরি। এটা গুরুত্বপূর্ণ যে শ্রীলঙ্কা সরকার সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের প্রার্থনার স্থানগুলোও নিরাপদ রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে’। বিবৃতিতে দ্রুত জরুরি অবস্থার অবসান ঘটিয়ে সবার জন্য মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে জাতিসংঘের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেফরি ফেল্টম্যান শুক্রবার শ্রীলঙ্কা সফরে যাবেন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক। তিনদিনের সফরে তিনি কান্ডি শহর দেখতে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। জরুরি অবস্থা জারির আগেই সফরের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেন স্টিফেন দুজারিক। তিনি বলেন, ‘সেখানে চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতা খবরে আমরা অবশ্যই উদ্বিগ্ন। অস্থিরতা কমানো ও পুনর্মিলনের জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতিকে আমরা স্বাগত জানাই।’ সংঘাতের পথ পরিহার করে সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।