ট্রাম্প-কিম উন সম্ভাব্য বৈঠকের পক্ষে সিআইএ পরিচালকের সাফাই

কিম উন-ট্রাম্প বৈঠকের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ পরিচালক মাইক পম্পেও। উ. কোরীয় নেতার কিং জং উনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওই সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে অভাবনীয় সফলতার আশা করলেও সমালোচকরা একে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে। তবে ফক্স নিউজকে সিআইএ পরিচালক পম্পেও বলেছেন, ঝুঁকির ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট অবগত। তিনি সংকট নিরসনেই সেখানে যাচ্ছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি পম্পেওর এই অবস্থানকে ট্রাম্পের পক্ষে সাফাই হিসেবে দেখছে। ডেইলি মেইল বলছে, বৈঠককে ইতিবাচক হিসেবে প্রচার করার কাজে নামানো হয়েছে সিআইএ পরিচালককে।

উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

এখন পর্যন্ত কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরীয় নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। উত্তর কোরিয়া বিশাল ছাড় দেওয়ার পরই কেবল এমন একটি সম্মেলন হতে পারে বলে আগে ভাবা হচ্ছিল। পিয়ংইয়ং দীর্ঘদিন ধরে এটাই চাচ্ছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার দূতরা প্রস্তাবটির কথা জানানোর সঙ্গে সঙ্গে ট্রাম্প তা গ্রহণ করেন। এতে তার নিজের প্রশাসনের অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। উত্তর কোরিয়া আগে বিভিন্ন সময় বলেছে, সঠিক শর্তে তারা পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করবে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, সামনে অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে ‘বিশ্বের জন্য শ্রেষ্ঠ চুক্তি’ হতে যাচ্ছে। কিন্তু সমালোচকরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যদি সংলাপ ব্যর্থ হয়ে তাহলে দুই দেশের মধ্যে আগের চেয়েও খারাপ অবস্থা তৈরি হবে। রবিবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পম্পেও বলেন, ‘ট্রাম্প হুমকি দিতে এটা করছেন না। তিনি একটি সমস্যা সমাধানের জন্য সেখানে যাচ্ছেন।’ মাইক পোমপিও বলেন, প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে চ্যালেঞ্জগুলোর ওপর কড়া নজর রাখছে। তিনি বলেন, দেশটি এখন আলোচনায় আসতে চাচ্ছে কারণ মার্কিন নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞা তাদের অর্থনীতিতে বিশাল আঘাত করেছে। এর আগে উত্তর কোরিয়া কখনও এমন অবস্থায় পড়েনি যাতে তার অর্থনীতি এমন ঝুঁকিতে পড়ে।

ডেইলি মেইল বলছে, রবিবারের টক শোতে পম্পেওসহ অন্যরা ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের সমালোচকদের জবাব দেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন। অনেকেই সংলাপটি আবেগতাড়িত হয়ে করা হচ্ছে বা প্রেসিডেন্টের অনভিজ্ঞতা ও বিশাল ঝুঁকির কথা বলে সতর্ক করছেন।

হোয়াইট হাউসের আরেক শীর্ষ কর্মকর্তা রাজস্ব মন্ত্রী স্টিভ নিউচিন বলেন, এই সংলাপের পরিষ্কার লক্ষ হলো কোরিয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্র মুক্ত করা। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আশা করে এই বৈঠকের আগে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র বা পরমাণু পরীক্ষা চালানো হবে না।