৬৭ যাত্রী নিয়ে ইউএস-বাংলার বিমান নেপালে বিধ্বস্ত

অবতরণের সময় নেপালের ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিএস ২১১ ফ্লাইটে ৬৭ জন যাত্রী ছিল বলে হযরত শাহজালাল (র.) বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে। নেপাল টাইমস-এর খবরে বলা হয়েছে, ৭৮ জনকে ধারণে সক্ষম ওই বিমানে যাত্রীদের পাশাপাশি ৪ ক্রু সহ ৭১ জন আরোহী ছিল।  নেপালের পর্যটন সূত্রকে উদ্ধৃত করে সেখানকার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিধ্বস্ত বিমানের ১৭ জন আহত যাত্রীকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। 
noname

ত্রিভূবন বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর জানান, অবতরণের সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর বিমানবন্দরের কাছেই একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয় এটি।  ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে পৌঁছায়। ত্রিভূবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও নেপাল সেনাবাহিনী উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। 


noname

ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'আমরা নিজেরাও এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি কী ঘটেছিল। আমাদের স্টেশন ম্যানেজারও দেশে রয়েছে। বিস্তারিত জেনে আমরা জানাতে পারবো।'

noname
নেপালের বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক সঞ্জীব গৌতম বলেন, রানওয়েতে অবতরণের সময় বিমানটি নিয়ন্থ্রণ হারিয়ে ফেলে। এটা দক্ষিণ দিকে নামার কথা থাকলেও উত্তর দিক দিয়ে নামে। তিনি বলেন, ‘কারিগরী ত্রুটির কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। আমরা বিধ্বস্ত হওয়ার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’

Capture

আর্নিকো পান্ডে নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী নেপালের সংবাদমাধ্যম মাই রিপাবলিকাকে বলেছেন রানওয়েতে বাঁক নেওয়ার সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বলেন, আমি সংযোগসড়কে ছিলাম। দেখলাম বিমানটি টার্মিনালকে পেছনে ফেলে দক্ষিণ দিকে দ্রুত বাঁক নিলো। এরপরই রানওয়ে থেকে তা অদৃশ্য হয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে বিশালাকারের ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। তিনি জানান, খু্ব নিচে দিয়ে কন্ট্রোল টাওয়ারের ওপর দিয়ে বিমানটিকে উড়তে দেখেছিলেন।

বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর ত্রিভূবন বিমান বন্দরের সব ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে।