নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন বেঁচে যাওয়া নেপালি

বাংলাদেশে প্রশিক্ষণ নিতে এসেছিলেন নেপালের রাসভিতা ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের কর্মী বসন্ত বহরা। প্রশিক্ষণ শেষে সোমবার (১২ মার্চ) দেশে ফিরছিলেন তিনি। তবে স্বজনদের কাছে পৌঁছানোর আগেই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী হতে হয় তাকে। মাথায় ও পায়ে আঘাত পেলেও ওই ‘অগ্নিপরীক্ষা’ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়ায় নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন বসন্ত।

বসন্ত বহরা

সোমবার দুপুরে ৬৭ জন আরোহী নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলার বিমানটি নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনায় আহত বসন্ত বহরা বর্তমানে থাপাথালিভিত্তিক নরভিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টকে তিনি জানিয়েছেন ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। বসন্ত জানান, ঢাকা থেকে উড্ডয়নের সময় স্বাভাবিক ছিল বিমানটি। কিন্তু ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময়ই সংকট তৈরি হয়।

বিমানের ধ্বংসাবশেষ
বসন্ত বহরা বলেন, ‘হঠাৎ বিমানটি প্রচণ্ড ঝাঁকুনি খায়। এরপরই প্রচণ্ড এক শব্দ শোনা যায়। আমি জানালার পাশে বসা ছিলাম। জানালা ভেঙে বের হয়ে এলাম।’

বসন্ত জানান, বিমান থেকে বের হওয়ার পর তার আর কিছু মনে নেই। তিনি বলেন, ‘কেউ একজন আমাকে সিনামঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন। পরে আমার বন্ধুরা নরভিক হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। আমি মাথায় ও পায়ে আঘাত পেয়েছি। কিন্তু ওই অগ্নিপরীক্ষা থেকে যে আমি প্রাণে বেঁচে গেছি। তার জন্য নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে।’