নেপালে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছে এয়ারলাইন্স ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দাবি, পাইলটের ভুলেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। আর ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হচ্ছিলো তাদের।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমান দুর্ঘটনার জন্য পাইলটের ভুলকেই দায়ী করছে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, পাইলট তাদের নির্দেশনা মানেননি। বিমানবন্দরের জেনারেল ম্যানেজার রাজ কুমার ছেত্রি বলেছেন, বিমানটি কন্ট্রোল রুমের নির্দেশনা অনুসরণ করেনি। তিনি দাবি করেন, ‘বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বিমানটিকে দক্ষিণ দিকে অবতরণের অনুমোদন দিলেও তারা উত্তর দিকে অবতরণের চেষ্টা করে। এর আগে আকাশে বেশকয়েকবার ঘুরতে থাকে বিমানটি।’
তবে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আফিফ দাবি করেন, এ দুর্ঘটনায় বিমানের পাইলটের কোনও গাফিলতি ছিল না। তিনি বলেন, নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কন্ট্রোল রুম থেকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ার কারণেই ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে।
নেপাল টাইমস-এর খবরে বলা হয়েছে, ৭৮ জনকে ধারণে সক্ষম ওই বিমানে যাত্রীদের পাশাপাশি ৪ ক্রু ও ৬৭ যাত্রী মিলে ৭১ জন আরোহী ছিলেন। এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের সিইও বলেন, আমাদের ফ্লাইটটি অবতরণ করার আগের তিন মিনিটের একটি কথোপকথন আমাদের হাতে এসেছে। ফ্লাইটের পাইলটের সঙ্গে কন্ট্রোল রুমের যে কথা হয়, তা রয়েছে ওই কথোপকথনে। এটা থেকে আমরা ধারণা করছি, দুর্ঘটনায় আমাদের পাইলটের দিক থেকে কোনও গাফিলতি ছিল না।
কোন রানওয়ে দিয়ে অবতরণ করতে হবে, সে সম্পর্কে ওই তিন মিনিটের কথোপকথনে বিভিন্ন ধরনের তথ্য দেওয়া হয়েছে। অবতরণের তথ্য সঠিকভাবে না দেওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।