ছবিতে কাঠমুন্ডুর ইউএস বাংলার বিমান দুর্ঘটনা

বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটির উদ্ধার কাজের বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে নেপালের সংবাদমাধ্যম হিমালয়ান টাইমস।ঢাকা থেকে কাঠমুন্ডু যাওয়া ফ্লাইটটি সোমবার দুপুরে বিধ্বস্ত হয়। এতে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে নেপালের সেনাসূত্র। ৭৮ জনকে ধারণে সক্ষম ওই বিমানে ৪ জন ক্রু ও ৬৭ যাত্রী মিলে ৭১ জন আরোহী ছিলেন। বিমানের ৩২ আরোহী বাংলাদেশি এবং ৩৩ জন নেপালি নাগরিক। ছিলেন একজন চীনা ও একজন মালদ্বীপের নাগরিকও। 

noname

 

ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে পৌঁছায় বিমানটি। অবতরণের সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর বিমানবন্দরের কাছেই একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয় এটি।

বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় আকাশ

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যাত্রীদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ , ২৭ জন নারী ও দুইজন শিশু। ত্রিভুবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও নেপাল সেনাবাহিনী উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।

বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের যাত্রীদের ব্যবহার্য সামগ্রীত্রিভুবন বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেমনাথ ঠাকুর জানান, ২৫ জনকে কাঠমান্ডু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ৭ জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

উদ্ধার তৎপরতায় নেপালের সেনাবাহিনী

নেপালের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র গোকুল ভান্ডারি রয়টার্সকে বলেছেন, 'এখন পর্যন্ত আমরা ৫০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। জ্বলন্ত ধ্বংসাবশেষ থেকে কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।' ওই সেনা মুখপাত্র জানান,  নয়জনের এখনও কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।

হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিধ্বস্ত বিমানটি থেকে ১৪ জন বাংলাদেশিকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে নেপালের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস বরাতে জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিমানমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল।

বিধ্বস্ত বিমানটির ধ্বংসাবশেষ

 নেপালে বিধ্বস্ত ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স বিমানের যাত্রীদের মধ্যে গাজীপুরের নগরহাওলা গ্রামের একই পরিবারের পাঁচ সদস্য ছিলেন। 

বিধ্বস্ত বিমানটির ধ্বংসাবশেষ

আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা।

আহতদের দেখতে হাসাপাতালে যান নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা