ফিলিস্তিনি স্কুলে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা

পশ্চিম তীরের বেথেলহাম শহরের কাছে একটি ফিলিস্তিনি বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী। হামলার সময় ইসরায়েলি বাহিনী ১০টির বেশি কাঁদানে গ্যাসের গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য পর্যবেক্ষণকারী ব্রিটিশ সংস্থা মিডলইস্ট মনিটর এ খবর জানিয়েছে।

ইসরায়েলি গোলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়েই পাঠদান চলে ফিলিস্তিনি শিশুদের

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা’র খবরে বলা হয়, পশ্চিম তীরের দক্ষিণাঞ্চলের তুকু শহরের স্কুলটি লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়। ওই সময় তারা সেখানের কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে মারে।

স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াফা বলছে, কাঁদানে গ্যাসের বিস্ফোরণের কারণে বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্কুলের দরজা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। খবরে আরও বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী নিয়মিতভাবে বিদ্যালয়টির কাছে সেনা মোতায়েন করে শিক্ষার্থীদের উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করে। এর মাধ্যমে তারা মূলত ফিলিস্তিনের পড়াশোনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে চায়।

দখল করার পর থেকে পশ্চিমতীর ও পূর্ব জেরুজালেমের বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বাহিনী নিয়মিতভাবে হামলা গ্রেফতারসহ ফিলিস্তিনিদের ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।

গত বছরের ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি। এরপর বিশ্বজুড়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় ওঠে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে একটি প্রস্তাবও পাস হয়েছে। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। আর ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে তৃতীয় ইন্তিফাদার ডাক দিয়েছে ফিলিস্তিনি জাতিমুক্তি আন্দোলনের সংগঠন হামাস। এরই মধ্যে হামলা, আটক, গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও হত্যাসহ নানাভাবে ফিলিস্তিনিদের কোণঠাসা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।