‘হুথিদের অস্ত্র সরবরাহে ইরানের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ করবে সৌদি জোট’

ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট প্রমাণ করতে যাচ্ছে যে হুথি বিদ্রোহীদের ইরানই অস্ত্র সরবরাহ করছে। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই দাবি করে তারা। জোটের মুখপাত্র তুরকি আল মালকি বলেন, নতুন আলামতগুলো প্রমাণ করবে যে হুথি বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ করছে ইরান।

2017_9_20-houthisDKMUJ86W0AEPmtu

মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদভিত্তিক ব্রিটিশ ওয়েবসাইট মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনের যুদ্ধ বন্ধে সৌদি আরব ও হুথি বিদ্রোহীরা গোপনে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আল মালিকি দাবি করেছেন, হুথিদের বিস্ফোরকবাহী নৌকার কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তিনবছর আগে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী দখলে নেয় ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। সৌদি রাজধানী রিয়াদে  নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন দেশটির প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্টের অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ হুথিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। ২০১৫ সালের মার্চে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান পরিচালনা শুরু করে সৌদি আরব ও তার মিত্র দেশগুলো।

 এরপর সৌদি রাজধানী রিয়াদকে লক্ষ্য করে একাধিক মিসাইল নিক্ষেপ করে হুথিরা। সৌদির অভিযোগ ওই মিসাইলগুলো সরবরাহ করেছিলো ইরান। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালেও ইরানি কুইয়াম মিসাইলের আলামত পের্য়েছিলেন।

এর আগে ফ্রেবুয়ারির শুরুর দিকে এই আলামত পরীক্ষার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৪ সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া এই প্রমাণকে ভুল উল্লেখ করে জানায়, তারা মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন দেবে না কারণ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ নেই।

এদিকে লাখ লাখ মানুষের ক্ষুধা ও মৃত্যুর কারণ ইয়েমেনের যুদ্ধ বন্ধে ও হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে গোপনে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরব। দুই পক্ষই যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এর মাঝেই আসলো ইরানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণের ঘোষণা।