নারীদের বোরকা পরার বাধ্যবাধকতা নেই: সৌদি যুবরাজ

সৌদি আরবের নারীদের আবায়া বা বোরকা পরতে হবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তবে সেক্ষেত্রে নারীদের পোশাক অবশ্যই শালীন হতে হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

2032376420

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে চিরাচরিত ঐতিহ্য ভেঙে  নতুন সংস্কারের পথে হাঁটছে সৌদি আরব। ইতোমধ্যে নারীদের অধিকারজনিত অনেক পরিবর্তন দেখেছে দেশটি। এই পরিবর্তনগুলোকে রক্ষণশীলতা ভেঙে দেশটির আধুনিকায়নের ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএসকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে যুবরাজ বলেন, ‘ইসলামি শরীয়াহ খুবই স্পষ্ট। নারীদেরকে মার্জিত ও শালীন পোষাক পরতে হবে। এটা বোরখা বা আবায়াকে নির্দিষ্টভাবে ইঙ্গিত করে না। তাই এটা সম্পূর্ণ নারীর ব্যাপার যে তারা নিজেদের মার্জিত রাখতে কেমন পোশাক পরবেন।’

গত মাসে এক সিনিয়র আলেম বলেছিলেন, ‘নারীদের মার্জিত ও শালীন পোষাক পরতে হবে। আবায়া বা বোরকা জরুরি নয়।’

তবে তাদের এই বক্তব্যের প্রথাগত আইন এখনই পরিবর্তন হবে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।শরীয়াহ আইন অনুসরণ করার ক্ষেত্রে সৌদি আরবের কোনও লিখিত আইন নেই। পুলিশ ও বিচারবিভাগ সবসময়ই নারীদের আবায়া বা বোরখা পরার জন্য কড়াকড়ি করে আসছে।

যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতার কেন্দ্রে আসার পর থেকে অনেক সামাজিক পরিবর্তন আসছে দেশটিতে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নারীরা কালো বোরখা থেকে বেরিয়ে রঙিন বোরখা বা আবায়া পড়ছে। কোথাও কোথাও তো আবায়ার নিচে জিন্স বা স্কার্টও পড়ছেন তারা। ৮ মার্চ সৌদি শহর জেদ্দায় আন্তর্জাতিক নারী দিবসও পালন করেছেন কয়েকজন নারী।