হোয়াইট হাউসে সৌদি যু্বরাজ

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতরে যান সৌদি যুবরাজ। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, এবারের আলোচনায় মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক ইস্যুর চেয়ে সৌদি আরবের দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে আটককৃতদের শারিরীক নির্যাতনের বিষয়ে ট্রাম্প বেশি জোর দেবেন বলে আশা করছেন বিশ্লেষকরা। তবে নিজের ঘোষিত উচ্চাকাঙ্ক্ষি পরিকল্পনা ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে মার্কিন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার চেষ্টা করবেন সৌদি যুবরাজ।

noname

গত বছরে নভেম্বরে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু করে সৌদি আরব। দেশটির সম্পদশালী ব্যবসায়ী, মন্ত্রীসহ কয়েকশোজনকে আটক করে রাখা হয় রিয়াদের বিলাসবহুল হোটেল রিৎজ কার্লটনে। ডিসেম্বর থেকে সেখান থেকে একে একে সবাইকে মুক্তি দেওয়া হতে থাকে। সৌদি আরব জানায় দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে তাদের। মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিরা মুখ না খুললেও অভিযোগ উঠতে থাকে সম্পদ জমা দিতে রাজি করাতে শারিরীক নির্যাতন করা হয়েছে তাদের ওপর। ওই অভিযান শুরুর কয়েকদিন আগেই তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজ দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে  উচ্চাকাঙ্ক্ষি পরিকল্পনা ভিশন ২০৩০ ঘোষণা করেন তিনি। সৌদি আরবের কট্টোর সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় নীতিতে সংস্কারের ঘোষণাও দেন তিনি। বিভিন্ন সময়ে এসব পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর দুপুরের খাবারে অংশ নেওয়ার কথা সৌদি যুবরাজের। নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিসের সঙ্গে রাতের খাবারে অংশ নেওয়া ছাড়াও সৌদি যুবরাজ নবনিযুক্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও, অর্থমন্ত্রী স্টেভেন ম্নুশিন ও বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রোজের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রাম্পের সিনিয়র উপদেষ্টা ও জামাতা জ্যারেড কুশনাপরের সঙ্গেও বৈঠক করবেন সৌদি যুবরাজ। দুই সপ্তাহের যুক্তরাষ্ট্র সফরে মোহাম্মাদ বিন সালমানের নিউ ইয়র্ক, বোস্টন, সিলিকন ভ্যালি, লস এঞ্জেলস ও হাউসটন পরিদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে।