জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল

কাঠামোবদ্ধ প্রক্রিয়ায় ফিলিস্তিনি শিশুদের স্বাধীনতা হরণ করছে ইসরায়েল

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল তাদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, কাঠামোবদ্ধভাবে ফিলিস্তিনি শিশুদের বন্দিত্ব যাপনে বাধ্য করছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে ওই শিশুদের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে ওই সংস্থা।  জাতিসংঘ শিশু অধিকার কনভেনশন অনুযায়ী কারাবন্দি করা হলো শিশুদের শাস্তি দেওয়ার সর্বশেষ ‍উপায়। কিন্তু ইসরায়েল প্রতিনিয়ত শিশুদের আটক করার মাধ্যমে স্বাধীনতা হরণ করছে। সোমবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে কর্মকর্তারা  ফিলিস্তিনি শিশুদের নির্বিচার গ্রেফতারের নিন্দা জানান। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবর থেকে এসব কথা জানা যায়। 

ফিলিস্তিনি শিশু

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সহকারী হাই কমিশনার কেট গিলমোর বলেন, মানবাধিকার কাউন্সিলে জাতিসংঘের কয়েকটি ধারাবাহিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছরে পশ্চিম তীর ও গাজায় ফিলিস্তিনিদের জীবন ধারণ পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে খারাপ হয়ে পড়েছে। আর শিশুরা কিভাবে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের শিকার হচ্ছে তাও সেখানে ফুটে উঠেছে। গিলমোর কাউন্সিলকে বলেন, গত বছর শত শত ফিলিস্তিনি শিশুকে ইসরায়েল আটক করেছে। অনেককে কোনও অভিযোগ ছাড়াই প্রশাসনিক আটক দেখানো হয়েছে। শিশুদের জীবনের ওপর সংঘাতের এমন প্রভাব পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। শুধুমাত্র গত বছরেই আন্দোলনের সময় ৬ শিশুকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েল।

২০১৭ সালের নভেম্বরে ৩১৩ জন শিশুকে আটক করে জেল দেওয়া হয়েছে। আর বছর জুড়ে শুরুমাত্র পূর্ব জেরুজালেম থেকেই ৭২৯ শিশুকে আটক করা হয়। দখলকৃত ফিলিস্তিনে মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক বিশেষ দূত মাইকেল লিংক সোমবার বলেন,  বিশেষ করে ফিলিস্তিনি শিশুদের জন্য নিম্নগামী পরিস্থিতি খুবই বিরক্তিকর। জাতিসংঘ শিশু অধিকার কনভেনশন অনুযায়ী, কোনও শিশুকে কারাবন্দি করা হলো সর্বশেষ উপায়। লিংক বলেন, ইসরায়েলের প্রাতিষ্ঠানিক, কৌশলগত ও ব্যাপক বিস্তৃত আকারে ফিলিস্তিনি শিশুদের স্বাধীনতা হরণ করছে।

গিলমোর দখলকৃত ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনের দফতরের পর্যবেক্ষণ থেকে সেখানে ৬টি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, দখলকৃত অঞ্চলটির যেখানেই বাস করুক অর্ধ শতাব্দীর দখলদারিত্ব প্রত্যেক ফিলিস্তিনি নাগরিকের মানবাধিকারে ব্যাপক ক্ষতি করেছে।