রোহিঙ্গা ইস্যুতে নীরব থাকায় সু চি’র সমালোচনা করলেন কেট ব্ল্যানচেট

দুইবার অস্কারজয়ী অস্ট্রেলীয় অভিনেত্রী কেট ব্ল্যানচেট বলেছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞে দেশটির নেত্রী অং সান সু চির নীরব থাকার ব্যাপারটি ‘বিভ্রান্তিকর’। তিনি বলেন, এটা সত্যিই বিভ্রান্তিকর যে এমন হত্যাযজ্ঞের পরও অং সান সু চি কেন চুপ আছেন।’

cate-blanchett-960x540

সম্প্রতি অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম এবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন তিনি। গত সপ্তাহে জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন কেট। সেখানে নিজে উপস্থিত থেকে দেখেছেন রোহিঙ্গাদের দুর্দশা।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেখতে এসেছিলেন কেট। তিনি সতর্ক করে দেন, এই শিবিরে আশ্রয় নেওয়া প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা ঝুঁকির মুখে আছেন। তাদের অনেক সহায়তা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘বিষয়গুলো একটি আরেকটির সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রথমত বৃষ্টিতে অনেকগুলো বাড়ি ধসে পড়তে পারে। তাই ইউএনএইচসিআর এর মতো সংগঠনগুলোকে সামনে এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য তাদের আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন।’

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান কেট।

এছাড়া মিয়ানামারে অস্ট্রেলীয় সহায়তা নিয়েও কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী। কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো অনেকেই এই সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সরকারের উচিত মিয়ানমারকে লাখ লাখ ডলার সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার।   

9574656-3x2-700x467

সাক্ষাৎকারে  একজন শরণার্থীর সঙ্গে নিজের আলাপ তুলে ধরেন কেট। ১৮ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা তাকে জানান, তার সামনেই তিন বছর বয়সী ভাইকে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়। তার বড় ভাইকে চোখের সামনে গুলি করা হয়। পালিয়ে বাঁচতে হয় তাকে।

এবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নারীদের পক্ষে #মিটু আন্দোলনের পক্ষেও নিজের সমর্থন প্রকাশ করেন এই অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা শিল্পী ও সৃজনশীল মানুষরা কোনও বাধা ধরা নিয়মে নেই। এই শিল্পে যেই নারী পুরুষরা বঞ্চনা ও অবহেলার শিকার হন আমি তাদের পাশে আছি। অনেকদিন ধরেই এই নিপীড়ন আমাদের ওপর হয়ে আসছে।’ 

বাংলাদেশের নারীদের নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশে নারীরা ঐক্য গড়ে তুলেছে। নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে। তাই তাদের একত্রিত থাকা জরুরি।’