অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে ৭০ তিমির মৃত্যু, মাংসের খোঁজে হাঙর আসার ভয়

অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া উপকূলে ভেসে ওঠা ১৫০ তিমির মধ্যে ৭০টি এরইমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে। আটকা পড়া বাকি তিমিগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা চলছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রাণ হারানো তিমিগুলোর খোঁজে তীরের কাছাকাছি হাঙর চলে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জনসাধারণকে সাবধানে চলাফেরা করতে বলা হয়েছে।

উপকূলে ভেসে আসা তিমি
অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে তিমি ভেসে ওঠা ও আটকা পড়ার ঘটনা নতুন নয়। ২০০৯ সালের আজকের এই দিনটিতেই ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হ্যামেলিন বে উপকূলে আটকা পড়ার পর ৮০টিরও বেশি তিমি ও ডলফিন প্রাণ হারিয়েছিল। ২০১৫ সালে বুনবুরির সাউথ ওয়েস্ট টাউন উপকূলেও ২০টির বেশি তিমি আটকা পড়েছিল। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে সবচেয়ে বেশি তিমি আটকা পড়তে দেখা গিয়েছিল ১৯৯৬ সালে। সে সময় ৩২০টি তিমি উপকূলে ভেসে ওঠার পর আটকা পড়েছিল।

অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৩ মার্চ) ভোর ৬টার দিকে এক জেলে হ্যামেলিন বে উপকূলীয় এলাকায় একঝাঁক তিমি শনাক্ত করেন। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পার্কস অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ভেসে ওঠা তিমিগুলোর মধ্যে কেবল অর্ধেক সংখ্যক তিমি বেঁচে আছে বলে মনে করা হচ্ছে। তিমিগুলোকে আবারও সাগরে ফেরত পাঠাতে যতক্ষণ সময় লাগবে সে পর্যন্ত এগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে।

তিমি
তিমিগুলো ভেসে ওঠার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উপকূলের কাছাকাছি এলাকায় একটি তিন মিটার দৈর্ঘ্যের হাঙর দেখা গেছে। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, মরে যাওয়া এবং মরণাপন্ন তিমি দেখে দলবেঁধে হাঙর তীরের দিকে ছুটে আসতে পারে। ওই এলাকার কাছাকাছি সাগর তীরগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লোকজনকে সতর্ক হয়ে চলাফেরা করতে বলা হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার বায়োডাইভারসিটি, কনজারভেশন অ্যান্ড অ্যাট্রাকশনস (ডিবিসিএ) বিভাগের কর্মকর্তা জেরেমি চিক বলেন, তিমিগুলোকে জীবিত রাখাকে প্রাধান্য দিয়ে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন তারা। তবে তিনি আশঙ্কা করছেন, ‘প্রাণিগুলোর শক্তি, ঝড়ো ওবং আর্দ্র আবহাওয়াজনিত অবস্থার কারণে তিমিগুলোকে সাগরে ফেরত পাঠানোর প্রচেষ্টা ব্যাহত হতে পারে।’

ভিজিটর সার্ভিসের সমন্বয়ক বেন টনক জানান, একটি ব্যবস্থাপনা দল ঘটনাস্থলে কাজ করছে এবং কর্তৃপক্ষ জীবিত থাকা তিমিগুলোকে গভীর সাগরে ফেরত পাঠানো চেষ্টা করছে। ‘আমরা প্রাণিগুলোর দেখভাল করছি, তাদের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করছি এবং এখনও যে প্রাণিগুলো জীবিত আছে সেগুলোকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি’—বলেন, টানক।